সংক্ষিপ্ত

যাদবপুরের প্রাক্তনী তথা মাও নেত্রীর যোগসূত্রে আরও দুই জন এসটিফের জালে ধরা পড়েছে।  আদালতের অনুমতি নিয়ে ধৃতদের বহরুমপুর জেল থেকে কলকাতায় নিয়ে এসেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।

যাদবপুরের প্রাক্তনী তথা মাও নেত্রীর যোগসূত্রে আরও দুই জন এসটিফের জালে ধরা পড়েছে। উল্লেখ্য, মাওবাদী যোগের অভিযোগে নদিয়া থেকে ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এসটিএফ।  নদিয়া থেকে সদ্য গ্রেফতার হওয়া মাও নেত্রী জয়িতার সঙ্গে সরাসরি যোগ রাখার অভিযোগ। যার জেরে দুই যুবককে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। মুর্শিদাবাদ থেকে তাঁদের কলকাতায় আনা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ওই দুই মাওবাদীর নাম প্রতীক ভৌমিক এবং হাসিবুল শেখ। 

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা এলাকা থেকে জেলা পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে বেশ কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে। এসটিএফের সূত্র জানিয়েছে, প্রতীক ও হাসিবুলকে একসঙ্গেই মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তখনই প্রতীকের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু নথিপত্র। সেই সূত্র ধরেই এসটিএফের গোয়েন্দারা মুর্শিদাবাদ পৌছন। তাঁরা জেলা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে প্রতীকের কাছ থেকে পাওয়া ব্যাগটি পরীক্ষা করেন।  দেখা গিয়েছে, ওই ব্যাগের ভিতর মাওবাদী নেত্রী জয়িতা দাসের বিশ্ববিদ্যালয়ের শংসাপত্র।  এর পাশাপাশি ছিল জয়িতার বেশ আরও কিছু নথি। সেই সূত্র ধরেই ধরা হয়েছিল নদিয়ার থেকে জয়িতাকে। ল্লেখ্য এর আগেও মাওবাদী যোগ সূত্র পেয়ে ২০১৩  চারু মার্কেট থানা থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী জয়িতা দাসকে গ্রেফতার করেছিল। জানা গিয়েছে, ময়দান থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ব্যাগের সূত্র ধরেই জয়িতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন, 'ওড়িশায় শ্রীঘর সাফ হচ্ছে অনুব্রতর জন্য', বগটুইকাণ্ডে বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা

পুলিশ সূত্রে খবর, কিছু দিন আগেই ময়দান থানা এলাকায় উদ্ধার হয় একটি ব্যাগ। তাতে বেশ কিছু লিফলেট, ডিভিডি পোস্টার-সহ মাওবাদী বই ছিল। সেই জিনিস গুলির সূত্র ধরে মুর্শিদাবাদের দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছে থেকে অস্ত্র এবং কিছু পোস্টারও উদ্ধার হয়েছিল। পুলিশের দাবি, কলকাতায় পাওয়া ওই পোস্টারের সঙ্গে মিল রয়েছে সেগুলির। পরে জেরার মুখে জানান, এই পোস্টার এবং মাওবাদী বই এসেছে নদিয়ার ছোট জাগুলিয়া থেকে। জয়িতা দাস নদিয়া থেকে তাঁদের ওই বই এবং পোস্টার পাঠিয়েছে। এরপরেই ধৃত যুবকদের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ শাখা নদিয়ায়  জয়িতা দাসের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী জয়িতা দাসকে।

আৎও পড়ুন, উপাচার্যকে গালিগালাজের ২ দিন পর গ্রেফতার ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দীন, সরব বাম-বিজেপি-রাজ্যপাল

পুলিশ জানিয়েছে, মাওবাদীদের মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতির নেত্রী ছিলেন জয়িতা। পুলিশ সূত্র খবর, মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল লোকদের থেকে চাকা জোগাড় করতেন জয়িতা। পুলিশের অনুমান জয়িতার পাশাপাশি আরও দুই এক জন মাওবাদী নেতা সম্প্রতি সক্রিয় হয়েছেন।  মূলত জয়িতাকে ধরতে জাল বিছায় পুলিশ। জয়িতার সঙ্গে মাও যোগের একাধিক তথ্য পুলিশে হাতে উঠে আসে। তারা জানতে পারে মাওবাদী সংগঠনের প্রথম সারির নেত্রী জয়িতা। এরপরেই গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। এরপরেই নিজের এলাকা থেকে জয়িতাকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জেরা করেই প্রতীক ভৌমিক এবং হাসিবুল শেখের যোগাযোগের প্রমাণ মেলে। আদালতের অনুমতি নিয়ে ধৃতদের বহরুমপুর জেল থেকে কলকাতায় নিয়ে এসেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।