সংক্ষিপ্ত
এদিন বিকেল ৫টায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রছাত্রী-সংসদের সামনের মাঠ থেকে প্রতিবাদী মশাল মিছিল শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। দলমত-ঊর্ধ্ব দলীয় পতাকাহীন এই মিছিলে সকলকে স্বাগত জানানো হয়েছে আয়োজকদের তরফে।
আনিস খানের হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দিনভর ছাত্র ধর্মঘট চলে গোটা রাজ্যজুড়েই। এমনকি মহাকরণ অভিযানেরও ডাক দেওয়া হয়। তারজেরে সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনেই দীর্ঘসময় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শহর কলকাতা। মঙ্গলবার দুপুরে পূর্বসূচি অনুযায়ী পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট থেকে মিছিল শুরু করে আন্দোলনকারীরা। আনিস কাণ্ডের বিচারের দাবিতে বহু পড়ুয়া সামিল হন অভিযানে। এরপরেই শুরুতে মৌলালিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়াতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের। ঘটনার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। এদিকে ছাত্রনেতা খুনের ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল এসএফআই। মঙ্গলবার সকালেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চার নম্বর গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ। সেখানেও ছড়ায় উত্তেজনা। এমনকী তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতেও জড়াতে দেখা যায় এসএফআই কর্মী সমর্থকদের।
এদিকে বুধবারও যাদবপুরের ডাকে আনিশ হত্যার প্রকৃত সুবিচারের দাবীতে প্রতিবাদী নাগরিক মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। এদিন বিকেল ৫টায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রছাত্রী-সংসদের সামনের মাঠ থেকে প্রতিবাদী মশাল মিছিল শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। দলমত-ঊর্ধ্ব দলীয় পতাকাহীন এই মিছিলে সকলকে স্বাগত জানানো হয়েছে আয়োজকদের তরফে। এমনকী এই ঘটনাকে সামনে রেখে ফেসবুকে ইতিমধ্যেই একটি ইভেন্টও তৈরি করা হয়েছে। সেখানে প্রতিবাদী পড়ুয়াদের তরফে লেখা হয়েছে, “পুলিশের উর্দিতে বাড়িতে ঢুকে রাত ১টায় প্রতিবাদী এক তরুণকে খুন করা-- রাজ্যের পুলিশী বর্বরতার অন্ধকার ইতিহাসের কথা স্মরণ করছেন অনেকে। তরুণ আনিশ খান হত্যার প্রতিবাদে রাজ্য আবার মুখর।
আরও পড়ুন- আনিস মৃত্যুতে বড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের, কবে শুরু হচ্ছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি
আরও পড়ুন- নয়া শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে ব্যাপক ভাবে সাহায্য করবে এবারের বাজেট, দাবি মোদীর
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য-প্রাক্তন ছাত্র আনিশ খানের দোষ কী ছিল? সে অন্যায়ের প্রতিবাদ করত? রাজনৈতিক দলের রং বিচার না ক'রে প্রতিবাদ করত? বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের NRC-CAA সহ বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির বিরোধিতা যেমন সে করেছে, তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত রাজ্য সরকারের বিভিন্ন স্বৈরাচারী নীতি তথা দুর্নীতিরও সে বিরোধিতা করেছে? রাজ্যের শাসক দল পোষিত স্থানীয় লুম্পেন তথা মাতব্বরদের চোখরাঙানিকে ভয় পায়নি? গ্রামীণ ও মফস্বল হাওড়ায় চিকিৎসার বিপুল খরচওয়ালা একের পর এক নার্সিং হোম গজিয়ে ওঠার বিরোধিতা জানিয়ে গেছে দিনের পর দিন? ” একইসঙ্গে আনিস হত্যার যথাযথ তদন্তের দাবিও জোরালো ভাবে জানানো হয়েছে। ওই ইভেন্ট পোস্টেই লেখা হয়েছে, “আমরা সুবিচার চাই। প্রকৃত সুবিচার। পুলিশ যেহেতু অভিযুক্ত, তাই বিচার-প্রক্রিয়ায় সেই পুলিশ থাকলে তা নিরপেক্ষ না হবারই কথা। আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, পূর্ণাঙ্গ, নিরপেক্ষ এবং দ্রুত বিচার চাই।” এদিকে মঙ্গলবার ক্যাম্পাস চত্বরে তৃণমূল-এসএফআই সংঘর্ষের পর এদিন আবার নতুন করে মিছিলকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও উত্তেজনা না ছড়ায় সে বিষয়ে তৎপর প্রশাসন।
আরও পড়ুন- সাহস থাকলে সিবিআই তদন্ত টাক রাজ্য, আনিস কাণ্ডে মমতাকে তোপ দিলীপের
আরও পড়ুন- কতটা শান্তিপূর্ণ ভোট হল উত্তরপ্রদেশে, তৃতীয় দফার নির্বাচন শেষে পাল্লা ভারী কার