সংক্ষিপ্ত
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে একপাল ছাত্রী হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় বসে। প্ল্যাকার্ডে লেখা আমাদের দাবি মানতে হবে, আমাদের পাশ করাতে হবে ইত্যাদি।
সাংবাদিকের বুম আর ক্যামেরার সামনে প্রথমে বেশ স্মার্ট ছিল ছাত্রী। নিজেদের দাবি দাওয়া তুলে ধরছিল বেশ জোরের সঙ্গেই। এরপরের প্রশ্নেই বাঁধল বিপত্তি। ইংরেজিতে পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো ছাত্রীটিকে সাংবাদিকটি প্রশ্ন করে বসলেন বলো তো Umbrella বানান কী। ব্যাস। বেরিয়ে পড়ল রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার দাঁত নখে মরচে পড়া চেহারাটা। আমতা আমতা করে ছাত্রীর দাবি এসব জিজ্ঞাসা কেন করা হচ্ছে, সাংবাদিক কি এসব প্রশ্ন করতে এসেছেন নাকি। তবে নিজের প্রশ্নে অনড় থাকায় বাধ্য হয়ে সাংবাদিকের উত্তরে Umbrella বানান বলতে শুরু করে ওই ছাত্রী। তিনবারের চেষ্টায় যে বানান তার মুখ দিয়ে বের হল, তা Umbrella বানানের দূরসম্পর্কের কোনও আত্মীয়ও নয়।
এই ঘটনা কাল্পনিক নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। স্থান কাল পাত্র কোনটাই অবশ্য জানা যায়নি। কোন স্কুলের ছাত্রীদের এই ভিডিওতে ধরা হয়েছে, তাও জানা যায়নি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে একপাল ছাত্রী হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় বসে। প্ল্যাকার্ডে লেখা আমাদের দাবি মানতে হবে, আমাদের পাশ করাতে হবে ইত্যাদি। সাংবাদিক বন্ধু প্রশ্ন করেছিলেন ওই ছাত্রীদের যে ঠিক কি দাবি তাদের, কোন বিষয়ে ফেল করেছে তারা। উত্তর গড়গড় করে বলতে শুরু করে এক ছাত্রী যে তারা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মতো সাবজেক্টে লেটার পেয়েছে। অথচ ইংরেজিতে পাশ করানো হয়নি তাদের।
হ্যাঁ, তারা পাশ করেনি--এই শব্দবন্ধ উচ্চারণ করেনি ছাত্রীরা। তাদের সরাসরি দাবি তাদের পাশ করানো হয়নি। অর্থাৎ তাদের পাশ করানোর পুরে দায়ভার কাঁধে তুলে রেখেছেন শিক্ষকরা। কিন্তু কাদের পাশ করানো হয়নি, সত্যিই কি পাশ করানো হয়নি, নাকি পাশ করাতে পারেননি শিক্ষকরা, সেই জল মেপে দেখতে চেয়েছিলেন সাংবাদিক। তাতেই বেরিয়ে গেল আসল ছবিটা। Umbrella বানান করতে গিয়ে থতমত খেয়ে ঢোক গিলে বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে উত্তর দেওয়ার যে ব্যর্থ চেষ্টা ওই ছাত্রী করল, তাতে অনলাইনে পড়াশোনার মহিমা বোঝা গেল বিস্তর।
করোনা মহামারীর দয়া দাক্ষিণ্যে যে দুবছর অনলাইনে ক্লাস করল ছাত্র ছাত্রীরা, তাতে পড়াশোনা কতটা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিলই। এই ধরণের পাশ করিয়ে দাবি নিয়ে বিক্ষোভ প্রশ্ন তুলে দিতে শুরু করল পড়ুয়াদের ধৃষ্টতা নিয়েও।