সংক্ষিপ্ত

কড়া চিঠি শুভেন্দু অধিকারীর। সদ্য দলত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া দুই বিধায়ক তন্ময় ঘোষ ও বিশ্বজিত দাসকে চিঠি পাঠালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।

কড়া চিঠি শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikari)। সদ্য দলত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) যোগ দেওয়া দুই বিধায়ক তন্ময় ঘোষ (Tanmay Ghosh) ও বিশ্বজিত দাসকে (Biswajit Das) চিঠি পাঠালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। চিঠিতে এই দুই বিধায়ককে শোকজ করা হয়েছে। সূত্রের খবর এই দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইনের আওতায় কড়া ব্যবস্থা নিতে পারেন শুভেন্দু। 

সোমবার কলকাতার একটি হোটেলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে শাসকদলে যোগ দেন তন্ময় ঘোষ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরই ৫ মার্চ বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

তাঁর দলবদল প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, "আমি তন্ময় ঘোষকে চিঠি দেব। তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য। জানি তিনি কোনও উত্তর দিতে পারবেন না। তিনি অপেক্ষা করছিলেন। মুকুল রায়ের দলত্যাগ ও পিএসি চেয়ারম্যান পদ নিয়ে যে মামলাটি চলছে তার গতিপ্রকৃতি দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু, তিনি একটু তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ এখানকার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই কারণে জন্মাষ্টমীর দিন তড়িঘড়ি গিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি। কারণ পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারির ভয় দেখাচ্ছিল।"

এদিকে, তন্ময়ের যোগ দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মঙ্গলবার তৃণমূলে ‘ঘর ওয়াপসি’ হল বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের। বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি বেসুরো ছিলেন। উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ বেশি আসন জেতার স্বপ্ন দেখেছিল বিজেপি। কিন্তু, ৭৭টি আসন জেতার পরই থেমে যায় তাদের বিজয় রথ। এদিকে ফল প্রকাশের পর নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ গ্রহণ করেননি। ফলে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৭৫-এ। এরপর মুকুল রায় ও তন্ময় ঘোষের দল ছাড়ার পর সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৭৩। আর এবার বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭২।