সংক্ষিপ্ত
- খুন নয়, আত্মহত্যা?
- বিধায়কের মৃত্যুতে নয়া মোড়
- সুইসাইড নোট উদ্ধার করল পুলিশ
- সিআইডি তদন্তের নির্দেশ পুলিশের
কৌশিক সেন, রায়গঞ্জ: খুন নয়, আত্মহত্যা? হেমতাবাদের মৃত বিজেপি বিধায়কের পকেট থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করল পুলিশ। সুইসাইড নোটে হাতের লেখাটি দেবেন্দ্রনাথ রায়ের বলে শনাক্তও করেছেন পরিবারের লোকেরা। তেমনটাই জানিয়েছেন খোদ উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। ঘটনার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: 'মাওবাদী কায়দা'য় হেমতাবাদের বিধায়ককে 'খুন', সিবিআই তদন্তের দাবি তুলল বিজেপি
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সকালে। সাতসকালে বাড়ি কাছেই একটি বন্ধ দোকান থেকে উদ্ধার হয় উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের দেহ। পরিবারের লোকেদের দাবি, রোজকার মতোই রবিবার সন্ধ্যায় পাড়ায় আড্ডা দিতে বেরিয়েছিলেন তিনি। বাড়ি ফিরেছিলেন রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ। এরপর রাতে এক নাগাদ কেউ বা কারা বিধায়ককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর রাতে আর ফেরেননি তিনি। পরিকল্পনামাফিক বিধায়ককে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বাড়ির লোকেরা।
ঘটনায় তৃণমূল ও সিপিএম-র দিকে অভিযোগে আঙুল তোলেন বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি। তাঁর যুক্তি, বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায় এলাকা যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন। নিজেদের ক্ষমতায় কায়েম করতে তাঁকে খুন করেছেন তৃণমূল। এমনকী, যে একসময়ে যে দলের নেতা ছিলেন তিনি, সেই সিপিএম-কেও সন্দেহের বাইরে রাখেননি তিনি। এই যখন পরিস্থিতি, ঠিক তখনই বিধায়ক মৃত্যু তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন: একটু আসছি' - এই ছিল নিহত বিজেপি বিধায়কের শেষ কথা, গভীর রাতে হানা দিয়েছিল রহস্যময় বাইক
নিহত বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। কী লেখা আছে সুইসাইড নোটে? উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, আর্থিক কারণ, এমনকী, দু'জনের নামও উল্লেখ করে গিয়েছেন নিহত বিধায়ক। তদন্তের স্বার্থে সেই নামগুলি প্রকাশ করা না হলেও, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। খুন নাকি আত্মহত্যা? রহস্যভেদে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।