সংক্ষিপ্ত

ভিডিওটিতে যে কথাবার্তা রয়েছে তাতে মনে করা যেতেই পারে গোয়া নির্বাচনী প্রচারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস বাংলা থেকে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে গেছে। যা নিয়ে গোয়ার এক ব্যক্তি প্রবল আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁকে বারবারই বলতে শোনা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসের গোয়াতে কোনও কর্মী সমর্থক নেই কেন?কেন বাংলা থেকে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ? যে দুজন তৃণমূলের হয়ে প্রচার করছিলেন তাঁরা জানিয়েছেন তাঁদের ৫০০ টাকার বিনিময় গোয়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের (Goa Assembl Election) দিন ঘোষণার পরই বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নিশানা করেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC)। সোশ্যাল মিডিয়ায় ২ মিনিট ৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেন তিনি।  যার ক্যাপশানে তিনি কটাক্ষ করে লেখেন, বাঙালিদের ডাবল ডাবল চাকরি প্রদানের তাঁর প্রাক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পুরণ হয়েছে। পৌর নির্বাচনের জন্য প্রথম ত্রিপুরায় লোক পাঠান, এখন তিনি গোয়ায় লোক পাঠাচ্ছেন, বিধানসভা ভোটের জন্য। এটি কী 'ডাবল ডাবল চাকরি নয়?' তবে তিনি সেই সঙ্গে লিখেছেন ফেব্রুয়ারি মাসেই এটি শেষ হয়ে যাবে। শুভেন্দু টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অফিসিয়ালকেও ট্যাগ করেন। 

যাইহোক ভিডিওটিতে যে কথাবার্তা রয়েছে তাতে মনে করা যেতেই পারে গোয়া নির্বাচনী প্রচারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস বাংলা থেকে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে গেছে। যা নিয়ে গোয়ার এক ব্যক্তি প্রবল আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁকে বারবারই বলতে শোনা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসের গোয়াতে কোনও কর্মী সমর্থক নেই কেন?কেন বাংলা থেকে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ? যে দুজন তৃণমূলের হয়ে প্রচার করছিলেন তাঁরা জানিয়েছেন তাঁদের ৫০০ টাকার বিনিময় গোয়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এর বেশি তারা আর তেমন কিছু বলতে পারেনি। 

গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ইতিমধ্যেই গোয়া সফর করেছেন। এই রাজ্যে ফালো ফলাফল করতে তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ছেড়ে আসা প্রথম সারির নেতা কর্মীদের দলে জায়গা করে দিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের ব্যাটনই রয়েছে তাদেরই হাতে। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রসে এই রাজ্যে লড়াই করলেও একটিও আসনে জয়ী হতে পারেনি। তবে এবার গেমপ্ল্যান তৈরি করে সেইমনই নির্বাচনী ঘুঁটি সাজাচ্ছে বলেও ঘাসফুল শিবিরের অন্দরের খবর। কারণ গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফলাফল তৃণমূলকে জাতীয় রাজনৈতিতে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে। বিজেপির বিরোধী মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে নিজেকে তুলে ধরতে চাইছেন তাতেও অনেকটা এগিয়ে দেবে।  

২০১৭ সালে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৭টি আসন। বিজেপির দখলে ছিল ১৩টি আসন। গোয়া ফরোয়ার়্ পার্টির দখলে ছিল ৩টি আসন। গত বিধানসভা নির্বাচনে অন্যান্যরা জয় পেয়েছিল ৪টি কেন্দ্রে। তবুও সেবার গোয়া সরকার গঠন করতে পারেনি কংগ্রেস।

Goa Assembly election: পাঁচ বছরে গোয়ার রাজনীতিতে বদল, শক্তিশালী কংগ্রেস এখন ক্ষয়িষ্ণু

Omicron Threat: ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে আপাতত মিছিলে 'না', সংক্রমণ রুখতে কড়া কমিশন

Omicron: মৃদু ওমিক্রন সংক্রমণ 'বিবর্তনীয় ভুল', রীতিমত সতর্ক করলেন কেমব্রিজের বিশেষজ্ঞ