সংক্ষিপ্ত
'মিড ডে মিলের চাল, টাকা মারার জন্যই স্কুলে ছুটি ঘোষাণা করা হয়েছে', রাজ্যের স্কুলের গরমের ছুটি ঘোষণা করে শুভেন্দু-দিলীপদের তোপের মুখে মমতার সরকার।
'মিড ডে মিলের চাল, টাকা মারার জন্যই স্কুলে ছুটি ঘোষাণা করা হয়েছে', রাজ্যের স্কুলের গরমের ছুটি ঘোষণা করে শুভেন্দু-দিলীপদের তোপের মুখে মমতার সরকার। উল্লেখ্য, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। টানা ৫৮ দিন তীব্র দাবদাহ রাজ্যে। যার জন্য এরই মধ্যে আগামী ২ মে থেকে স্কুলের গরমের ছুটি এগিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তবে দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ চললেও উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া অপেক্ষাকৃত অনেকটাই আরমদায়ক। আর এই যুক্তিতেই উত্তরবঙ্গে স্কুল খোলা নিয়ে সরব হতে দেখা যায় শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে। শুক্রবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে শঙ্কর ঘোষের দাবিকেই সমর্থণ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শঙ্কর ঘোষের দাবিকেই সমর্থণ জানিয়ে, একই সুরে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
'মিড ডে মিলের চাল, টাকা মারার জন্যই স্কুলে ছুটি ঘোষাণা করা হয়েছে'-শুভেন্দু
এদিন উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়িতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে উত্তরবঙ্গে পৌছন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু বলেন, 'এই সরকার চায় না স্কুল গুলি খোলা থাক।তাহলে সরকারকে ইলেকট্রিক বিল দিতে হবে।স্কুল খোলা থাকলে মিড ডে মিলের চাল মারা যাবে না। তৃণমূলের কাটমানিখোর নেতারা চালের টাকা মারতে পারবেন না। শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও চাপ আসবে না। সরকারি স্কুলগুলি , বেসরকারি স্কুলগুলি থেকে আরও পিছিয়ে যাবে। তখন বেসরকারি স্কুলের উপর চাপ পড়বে। এই সমস্ত গোপন এজেন্ডার উপরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
'আসলে রাজ্য সরকার চাইছে পড়াশোনাটাই তুলে দিতে'-দিলীপ
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে ছাত্র-ছাত্রী-স্কুল সকলকই বিপাকে ফেলেছেন। তৃণমূলের সকলেই ল্যাম্পপোস্ট মন্ত্রী।'অপরদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, 'কলকাতা ছাড়া মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় উত্তরবঙ্গকে বাংলার অংশ মনেই করেন না। এর জন্য বারবার এরকম দাবি ওঠে। স্কুলের ছুটি দেওয়া নিয়ে কোনও স্কুলের অভিভাবক এসে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করেছেন কি, তবে কেন স্কুল ছুটি। আসলে রাজ্য সরকার চাইছে পড়াশোনাটাই তুলে দিতে। তাই এইসব চক্রান্ত।'
আরও পড়ুন, অনুব্রত-র গাড়িতে লালবাতি কেন ? প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা বিজেপি নেতার
যদিও স্কুল ছুটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষকরা
প্রসঙ্গত, শুধু সরকারি স্কুলগুলিতেই নয়, রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিকেও এই বিষয়টি মানবিকতার সঙ্গে দেখার আবেদন করেছেন মমতা। তিনি বলেছেন দোসরা মে থেকে গরমের ছুটি দিয়ে দেওয়া যায় কীনা, তা ভেবে দেখা হোক। অতিরিক্ত গরমে বাচ্চারা বাইরে টিফিন খাচ্ছে, স্কুল থেকে বাড়ি যাতায়াত করছে। তাই তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন মমতা। তিনি বলেন তাঁর কাছে তথ্য এসেছে যে স্কুলে যেতে গিয়ে অনেক বাচ্চাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে, তাদের নাক থেকে রক্ত বের হচ্ছে। এই মাত্রাতিরিক্ত গরমে পড়ুয়াদের স্কুল আসার বিষয়টি ঝুঁকির হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে গরমের ছুটি। এতে ছাত্র ছাত্রীদের অসুস্থতা কিছুটা হলেও এড়ানো যাবে। স্কুল ছুটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষকরা।