টুইটারে পিএম-কিষাণ প্রকল্প সম্পর্কে শুভেন্দু লেখেন, "আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রায় ১৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দেশের প্রায় ১০ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে পাঠাবেন। পিএম-কিষাণের নবম কিস্তির টাকা দেওয়া হচ্ছে। এবার এর সুবিধা পাবেন বাংলার প্রায় ২৬ লক্ষ কৃষক।" 

আজ প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি অর্থাৎ পিএম-কিষাণের নবম কিস্তির টাকা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রায় ১৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দেশের প্রায় ১০ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠানো হয়েছে। এবার পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২৬ লক্ষ কৃষক এর সুবিধা পাবেন বলে টুইট করে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, এতদিন রাজ্য সরকারের জন্য কেন্দ্রীয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন রাজ্যের কৃষকরা। 

উল্লেখ্য, আজ প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কিষাণ সম্মান নিধির নবম কিস্তি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, "কিষাণ সম্মান নিধির নবম কিস্তির টাকা দিল কেন্দ্র। করোনা পরিস্থিতিতে কৃষকদের ক্ষমতা দেখেছি। এই অবস্থায় কৃষক স্বার্থে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। কৃষিক্ষেত্রে ১১ হাজার কোটি টাকার উপর খরচ করা হবে। করোনাকালে কৃষিপণ্যের রপ্তানিতে রেকর্ড হয়েছে। ভোজ্য তেল উৎপাদনে আত্মনির্ভরতা আমাদের লক্ষ্য।"

Scroll to load tweet…

টুইটারে পিএম-কিষাণ প্রকল্প সম্পর্কে শুভেন্দু লেখেন, "আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রায় ১৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দেশের প্রায় ১০ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে পাঠাবেন। পিএম-কিষাণের নবম কিস্তির টাকা দেওয়া হচ্ছে। এবার এর সুবিধা পাবেন বাংলার প্রায় ২৬ লক্ষ কৃষক।" 

পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনায় নথিভুক্ত কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরকার কিস্তিস্বরূপ ২ হাজার টাকা ট্রান্সফার করেছে ৷ এই যোজনায় দেশের কৃষকদের বছরে ৬০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য করে কেন্দ্রীয় সরকার। ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে চলে আসে প্রথম কিস্তির টাকা। দ্বিতীয় ১ এপ্রিল থেকে ৩১ জুলাই এবং তৃতীয় কিস্তি ১ অগাস্ট থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দেওয়া হয়৷ সব কাগজ সঠিক থাকলে সুবিধাভোগীদের তালিকায় যুক্ত করা হয় কৃষকদের নাম। আর সেই তালিকা অনুসারে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হয় কেন্দ্রের তরফে। 

তবে কেন্দ্রের এই প্রকল্প নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিকে ২০১৮ সালে পোর্টালের মাধ্যমে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য অনেকেই আবেদন করেছিলেন। এরপর সেখানে আবেদনকারীদের সংখ্যা ৪০ লক্ষর বেশি হয়ে যায়। তখন আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই করে পাঠাতে বলা হয় রাজ্যকে। যদিও প্রথমে সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি রাজ্য। বিধানসভা ভোটের পর সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছিল। এরপর রাজ্য আবেদনকারী কৃষকদের নথি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রের কাছে পাঠায়। কিন্তু, কেন্দ্রের তরফে সাড়ে ৯ লক্ষ কৃষককে বাদ দেওয়ার কথা জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় নাকি বেজায় চটে যান মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, এই বিপুল পরিমাণ আবেদন কেন বাতিল হয়েছে সেই কারণ জানতে চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য। 

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের ৬৮ লক্ষ কৃষকের মধ্যে আজ মাত্র ২৬ লক্ষ কৃষকের অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢুকবে। এর আগে মে মাসে রাজ্যের কৃষকরা প্রথমবার এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছিলেন। তবে তখন মাত্র ৭.০৩ লক্ষ কৃষকের অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢুকেছিল। আর এবার সেখান থেকে কৃষকদের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। প্রায় ২৬ লক্ষ কৃষক এর সুবিধা পাবেন বলে জানানো হয়েছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে মমতাকেই একহাত নিয়েছেন শুভেন্দু। এ প্রসঙ্গে আরও একটি টুইটে তিনি লেখেন, "২০১৮ সালে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। কিন্তু, এই কেন্দ্রীয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন বাংলার কৃষকরা। কারণ সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত সব কৃষকের সঠিক তথ্য দেওয়াই হয়নি।"