সংক্ষিপ্ত
আগামী ৫ এপ্রিল ঝালদা পৌরসভার বোর্ড গঠন।বোর্ড গঠনের নোটিফিকেশন পত্র নিয়ে তপন কান্দুর বাড়িতে পৌঁছান ঝালদা পৌরসভার কর্মী।তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু সাফ জানিয়ে দেন যতদিন না খুনিরা ধরা পড়ে, খুনের কিনারা হচ্ছে তিনি বোর্ড গঠনের নোটিশ গ্রহণ করবেন না নোটিশে সইও করবেন না।
আগামী ৫ এপ্রিল ঝালদা পৌরসভার বোর্ড গঠন। নোটিশে সই করলেন না তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু।বোর্ড গঠনের দিন থাকবেন অনুপস্থিত। উল্লেখ্য, ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দুর হত্যার পর দু সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। আটকে রয়েছে ঝালদা পৌরসভার বোর্ড গঠন।ঝালদা পৌরসভার বোর্ড গঠনের দিন ধার্য্য হয়েছে আগামী ৫ই এপ্রিল।বোর্ড গঠনের নোটিফিকেশন পত্র নিয়ে তপন কান্দুর বাড়িতে পৌঁছান ঝালদা পৌরসভার কর্মী।তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু সাফ জানিয়ে দেন যতদিন না খুনিরা ধরা পড়ে, খুনের কিনারা হচ্ছে তিনি বোর্ড গঠনের নোটিশ গ্রহণ করবেন না নোটিশে সইও করবেন না।
পূর্ণিমা কান্দু একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান, ভোটের ফলাফল প্রকাশের সময় তৃণমূল কংগ্রেস পক্ষ থেকে ১২ মার্চ ঝালদা পৌরসভায় বোর্ড গঠনের জন্য দিন ধার্য্য করা হলেও সরকার তা করেনি।ঝালদা পৌরসভার বোর্ড গঠনের জটিলতা হতে পারে বুঝেই তার স্বামীকে গুলি করে খুন করা হয়।তাই এই বোর্ড গঠনে আপত্তি রয়েছে।কারণ পৌর বোর্ড গঠনের জন্যই তার স্বামীকে খুন হতে হয়েছে বলে জানিয়ে দেন তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু।যদিও পরে তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু নোটিফিকেশন পত্রে সই করে দেন। এদিকে মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে তপন কান্দুর পরিবারকে দেওয়া হল পুলিশি নিরাপত্তা। পূর্ণিমা কান্দুকে সর্বক্ষণের জন্য দুই জন নিরাপত্তা রক্ষি এবং ভাইপো মিঠুন কান্দুকে এক জন নিরাপত্তা রক্ষী দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পূর্ণিমা কান্দুর বাড়িতে সর্বক্ষণের জন্য মোতায়েন রয়েছে চারজন নিরাপত্তারক্ষী। নিরাপত্তারক্ষী প্রসঙ্গে তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু জানান, যখন নিরাপত্তারক্ষীর প্রয়োজন ছিল, তখন নিরাপত্তা পাইনি। তাহলে হয়তো এই ঘটনা ঘটতো না তবুও মহামান্য আদালতের নির্দেশকে সম্মান জানাই।
আরও পড়ুন, সৎবাবার যৌন লালসার শিকার মেয়ে, সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে 'গলা টিপে' খুন করল মা
বুধবার বিকেলে তপন কান্দুর হত্যার তদন্তে গড়িমসি এবং সিবিআই তদন্তের দাবিতে পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতর নেতৃত্বে পুরুলিয়া শহরে আয়োজিত হয় মিছিল। মিছিলে কংগ্রেস কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়, রাঁচির একটি বেসরকারি হাসপাতলে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্য়ু হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। এদিকে ত্রিশঙ্কু ঝালদা পুরসভায় কংগ্রেসকে সংখ্যালঘু করতেই শাসকদল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। রবিবার দুপুরে নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে সংবর্ধনা সভা করেছিল কংগ্রেস। সেখানে সস্ত্রীক যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সভা থেকে বিকেলে একাই বেরিয়ে যান। রাস্তায় আচমকাই তিন দুষ্কৃতি গুলি করে পালায়। প্রথমে গুরুতর জখম তপন কান্দুকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝালদা মহাকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকেই স্থানান্তরিত করা হয়, রাঁচির বেসরকারি হাসপাতালে। এরপরেই মৃত্যু হয় তার।