সংক্ষিপ্ত

  • লকডাউনের দিন বিকেলে ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডাক
  •  ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে উত্তাল লালগোলা থানার কালমেঘা
  • অভিযুক্ত সরকারি স্কুলের শিক্ষককে তৃণমূলের আড়াল করার চেষ্টা
  •  প্রতিবাদে অভিযুক্ত ও তার সমর্থনকারীদের ওপর চলে হামলা  

লকডাউনের দিন বিকেলে ছাত্রীকে বাড়ি  থেকে ডেকে এনে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে উত্তাল লালগোলা থানার কালমেঘা এলাকা। পরবর্তীতে অভিযুক্ত সরকারি স্কুলের শিক্ষককে তৃণমূলের আড়াল করার চেষ্টায় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গ্রাম। প্রতিবাদে বিক্ষোভ চালিয়ে অভিযুক্ত ও তাদের সমর্থনকারীদের বাড়ির ওপর চলে হামলা, ভাঙচুর ।এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যান স্থানীয় ওসি সৌম দে ।

এই ব্যাপারে লালবাগের এসডিও বরুণ বৈদ্য বলেন , “ ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে ওই শিক্ষককে । এদিকে ওই ছাত্রী ও তার বাড়ির লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ।ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ করা হবে।”পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , “মা ডাকছে” অছিলায় প্রতিবেশী নবম শ্রেনির এক ছাত্রীকে এদিন বিকেলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় শিক্ষক নওয়াজ শরিফ ওরফে রকি । ওই সময় শিক্ষকের বাড়িতে অন্য কেউ না থাকায় স্থানীয় হোসনাবাদ হাই স্কুলের ওই ছাত্রীর প্রথমেই খটকা লাগে । সে তার মার খোঁজ করলে শিক্ষক ওই নাবালিকা জানিয়ে দেয় গল্প করার জন্য তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসেছে । 

তারপরেই ছাত্রীটিকে নিজের মোবাইল থেকে পর্ণ ছবি দেখাতে যায় ফতেপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রকি ।এতেই ওই ছাত্রী রকির মতলব টের পায় এবং সে চিৎকার শুরু করে দেয় । তখন রকি ওর উপর ঝাপিয়ে পড়ে , এতে নাবালিকা ছাত্রীটি আরও জোরে চিৎকার শুরু করে দেয় । ঠিক সময় ওই পথ দিয়ে জাচ্ছিলেন গ্রামেরই সাফিক শেখ ।সে চিৎকার শুনে ওই বাড়িতে ঢুকে রকির হাত থেকে উদ্ধার করে নাবালিকা ছাত্রী টিকে । এতেই খেপে গিয়ে সাফিকের উপর চড়াও হয় অভিযুক্ত শিক্ষক। বাড়ির মধ্যে রকি বেধড়ক পেটায় সফিককে। 

পরবর্তীতে স্থানীয় বাসিন্দারা আহত শফিককে উদ্ধার করে । অভিযোগ, ঘটনার পর নিজের বাড়িতে নিজেই ভাঙচুর করে গুণধর ওই শিক্ষক । এই ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই ছাত্রীর মা ডলি বিবি বলেন, “ যে আমার মেয়ের সর্বনাশ করতে চেয়েছিল তার যেন উপযুক্ত শাস্তি হয় ।” এর আগেও রকি নামে এই রকম একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন বাসিন্দারা । এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব মধ্যস্থতার চেষ্টা করলে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা।পরিস্থিতি  সামাল দিতে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে।