সংক্ষিপ্ত

উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়া শহরের ৯ নং ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের লোহারপাড়া এলাকায় ১১১ নং বুথের বিজেপি সভাপতি ঋজু লোহারকে বাড়ি থেকে ডেকে মারধরের অভিযোগ উঠল ৯ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ভ্রমর বাউরী সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।

পুর ভোট (Municipal Elections 2022) যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে বাঁকুড়া শহরে (Bankura) উত্তেজনার পারদ (Tensions)। রবিবার সকালেই (Sunday Morning) উত্তপ্ত হয়ে উঠে বাঁকুড়া। ১৮ নং ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে টাঙানো পোস্টার ও পতাকা পুড়িয়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এই ঘটনায় বিরোধীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বাঁকুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। 

এদিকে, এই ঘটনার পরেই ফের উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়া শহরের ৯ নং ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের লোহারপাড়া এলাকায় ১১১ নং বুথের বিজেপি সভাপতি ঋজু লোহারকে বাড়ি থেকে ডেকে মারধরের অভিযোগ উঠল ৯ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ভ্রমর বাউরী সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। শুধু মারধর নয় বাড়ি ভেঙ্গে দেওয়ার ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। 

এই ঘটনায় তৃণমূল প্রার্থী সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে বাঁকুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত বিজেপি বুথ সভাপতি। অন্যদিকে বাঁকুড়া সদর থানায় বিজেপির বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর পালটা অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল প্রার্থী। তৃণমূল প্রার্থীর দাবি এলাকায় দলের পতাকা খুলে ফেলে দেওয়া ও নানান অসামাজিক কাজ করে চলেছে বিজেপি। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পালটা অভিযোগে সরগরম বাঁকুড়ার পুরভোট যুদ্ধ।

লোকসভা ও বিধানসভার নিরিখে বাঁকুড়া পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একাধিক ওয়ার্ডের ভোট ব্যাংক হারিয়ে সেই হারানো ভোট ব্যাংক পুনরুদ্ধারে আগাম আসরে নেমেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে বাঁকুড়া পুরসভা এলাকায় একাধিক ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছে ঘাসফুল শিবির। এই পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডে প্রায় ৯০০ ভোটে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। হারানো ভোট ব্যংক ফিরিয়ে এই ওয়ার্ড নিজেদের দখলে রাখতে কোমর বেধে আগাম আসরে প্রচারে নেমেছে শাসকদল।

পুরভোটের (Municipal Election) দামামা বেজে গিয়েছে। রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোটের পরই বকেয়া পুরসভায় ভোট হবে। আর সেই কারণেই শাসকদল (TMC) থেকে শুরু করে বিরোধীরা এখন জোরকদমে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। আসলে এই সময় প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না তাঁরা। এদিকে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১২৭টি পৌরসভার নির্বাচন। প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখছে না কোনও রাজনৈতিক দলই। সংগঠনকে চাঙ্গা করার কাজে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে সমান তালে। বিজেপি থেকে শুরু করে, তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে সবাই।