সংক্ষিপ্ত
৩০০ বছরে পদার্পণ করল বরিশা সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের দোল উৎসব। পালকিতে বসিয়ে চলে ঐতিহ্যবাহী পদযাত্রা। পাশাপাশি শুক্রবার দোলযাত্রা উপলক্ষে মেতে উঠেছে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য৷
৩০০ বছরে পদার্পণ করল বরিশা সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের দোল উৎসব (Barisha Savarna Roy Chowdhury's Dol Utsav)। দোল উৎসবে রাধা-কৃষ্ণ এবং নারায়ণকে পুজো সাড়ম্বরে পুজো দেয় এই পরিবার। পালকিতে বসিয়ে চলে ঐতিহ্যবাহী পদযাত্রা। পাশাপাশি শুক্রবার দোলযাত্রা ( Dol Utsav 2022) উপলক্ষে মেতে উঠেছে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য৷
বরিশা সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের অনেক বড় পরিবার আর সেই কারণে ১২ বছর অন্তর অন্তর পালা করে একেক পরিবার দোল উৎসবে রাধা-কৃষ্ণকে এবং নারায়ণকে পুজো করার সুযোগ পায়। আর সেই মতই এবার ননীগোপাল রায়চৌধুরীর পরিবারেই পূজো করার সুযোগ পেলেন ১২ বছর পর। তাই গোটা পরিবার দোল উৎসবে মেতে উঠেছে। আর দোল উৎসবের আগের দিন সেই কারণে নারায়ণকে পালকিতে বসিয়ে এক পদযাত্রা এবং নেড়া পোড়ার মাধ্যমে কাল দোল উৎসবের শুভ আরম্ভ করল বরিশা সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার।
আরও পড়ুন, আজ দোলের জন্য কমানো হয়েছে কলকাতা মেট্রোর সংখ্যা, জানুন কতক্ষণ পাবেন পরিষেবা
উল্লেখ্য শুক্রবার দোলযাত্রা উপলক্ষে কলকাতা সহ রাজ্য মেতে উঠেছে৷ অশোক, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া আর রক্তকাঞ্চনের ডালে ডালে রঙের উচ্ছ্বলতা। রঙের উৎসবে মেতে বাংলা ৷ বিভিন্ন এলাকায় চলছে বসন্তোৎসব৷ বসন্তের বাতাসে রঙের ছড়াছড়ি। আবির, রঙ ও পিচকারি নিয়ে রং খেলায় মাতোয়ারা শহরের ছেলে-মেয়েরা। বসন্তের নবীন পাতায় হিল্লোল জাগায় যে রং, আজ সেই রং-এর উৎসব। বসন্ত কবেই এসে গিয়েছে। তবে দোল না এলে বসন্তের সেই পূর্ণতা যেনও অধরাই থেকে যায়। শুধু একে অপরকে রং দেওয়া নয়, বাংলার এক এক প্রান্তে দেখা যায় নানা ধরনের দোল উৎসব ও পুজো পদ্ধতি। তবে দোল নিয়ে সতর্ক পুলিশ প্রশাসন। নজর রাখা হচ্ছে শহরতলির অলিগলিতে। আম্রমুকুল, বেগনি রঙের বোগেনভোলিয়া আর অকালবৈশাখী আহ্বান জানাচ্ছে বসন্তের। আর তাই প্রকৃতির রঙে রঙ মিলিয়ে নিতে প্রস্তুত শহরবাসী।
আরও পড়ুন, ঘুরে আসতে পারেন দার্জিলিং বা গ্যাংটক, হোলিতে বিশেষ ট্যুর প্যাকেজ ঘোষণা পূর্ব রেলের
আরও পড়ুন, দোলের সকালে ঘন কুয়াশায় ঢাকল রাজ্যের জেলা, ঘূর্ণীঝড় নিয়ে কী বলছে হাওয়া অফিস
অপরদিকে ২০১৫ সালে পৌষমেলায় দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে গ্রিন বেঞ্চে প্রথম মামলা করেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। এবং তার প্রভাব পড়ে শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসবেও। আদালত অন্যতম পর্যবেক্ষক হিসেবে সুভাষ দত্তকেই নিয়োগ করে। সুভাষ দত্তের মতে, যেহেতু এখানে প্রায় দেশ-বিদেশের সর্বস্তরের মানুষই এসে যোগদান করেন, তাই বিশৃঙ্খলা আর দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই সেই সবদিক মাথায় রেখেই শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসবেও তার দায় রয়েই যায়। তবে বোলপুর এবার শুধুই অপেক্ষায় রবি ঠাকুরের গানে আর আবিরে মিশে যেতে।