সংক্ষিপ্ত
করোনা অতিমারির কারণে এবারও কৌশিকী অমাবস্যায় ভক্তদের জন্য বন্ধ করা হল তারাপীঠ মন্দিরের দরজা। রামপুরহাট মহকুমা শাসকের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসন ও মন্দির কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
করোনা অতিমারির (Corona Pandemic) কারণে এবারও কৌশিকী অমাবস্যায় (Kaushiki Amabasya) ভক্তদের জন্য বন্ধ করা হল তারাপীঠ মন্দিরের(Tarapith temple) দরজা। মঙ্গলবার দুপুরে রামপুরহাট মহকুমা শাসকের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসন ও মন্দির কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কথিত আছে মহিষাসুর বধের পর শুম্ভ-নিশুম্ভের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন স্বর্গের দেবতারা। শেষে দেবতারা মহামায়ার তপস্যা শুরু করেন। সেই তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে দেবী নিজ কোষ থেকে উজ্জ্বল জ্যোতি বিচ্ছুরিত করে এক পরমাসুন্দরী দেবী মূর্তিতে আবির্ভূত হন।
নিজ কোষ শরীর থেকে বের হওয়ার জন্য তিনি হলেন কৌশিকী। কৌশিকীদেবী আবার তারা ও কালীতে রূপান্তরিত হন। আবার শোনা যায় কৌশিকী অমাবস্যার দিন তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেতশীমূল বৃক্ষের তলায় সাধক বামাক্ষ্যাপা সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। ফলে ওই দিন মা তারার পুজো দিলে এবং দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভ হয় এবং কুম্ভস্নান করা হয়।
এই বিশ্বাসে আজও ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ওই তিথিতে তারাপীঠে ছুটে আসেন। ৭ সেপ্টেম্বর এবার কৌশিকী অমাবস্যার তিথি। ভক্তদের আটকাতে তাই তেসরা থেকে ৮ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকবে। তবে নিত্যপুজো কিংবা অমাবস্যার পুজো হবে রীতি মেনেই।
এদিন রামপুরহাট মহকুমা শাসকের সভাকক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা শাসক বিধান রায়, তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়, সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায়, হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুনীল গিরি।
তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “কৌশিকী অমাবস্যায় লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়। ফলে এই অতিমারির সময় কৌশিকী অমাবস্যায় মন্দির খোলা থাকলে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারনে মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে রীতি মেনে মায়ের পুজো হবে। ভক্তরা চাইলে তাদের নামে পুজো দেওয়া হবে, মায়ের দর্শন হবে না”।
জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, “কৌশিকী অমাবস্যার দিন মন্দির বন্ধের বিষয়টি বেশি করে প্রচার করুন। যাতে মানুষকে হয়রানি হতে না হয়”।