সংক্ষিপ্ত
ভিন রাজ্য থেকে আমদানি পোশাকের পরিবর্তে মুর্শিদাবাদে পড়ুয়াদের জন্য পোশাক তৈরিতে 'পাওয়ারলুম'।রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ মেনে বড়োসড়ো নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন।
শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ মেনে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ! ভিন রাজ্য থেকে আমদানি পোশাকের পরিবর্তে মুর্শিদাবাদে পড়ুয়াদের জন্য পোশাক তৈরিতে 'পাওয়ারলুম'। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ মেনে বড়োসড়ো নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন।স্কুল পড়ুয়াদের পোশাক বানাতে আর বাইরে থেকে কাপড় আমদানি নয়, এখন থেকে জেলার পাওয়ার লুম থেকেই স্কুল পোশাকের কাপড় তৈরি করা হবে বলে জানিয়ে দিলো জেলা প্রশাসন।
এই বিষয়ে জেলা শাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী সংবাদমাধ্যমকে জানান , পাওয়ার লুম শিল্পী, জেলা চেম্বারস অব কমার্স ও জেলার অন্যন্য কর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেই এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।রাজ্য সরকার চাইছেন জেলার স্কুল পড়ুয়াদের পোশাক বানান তো বটেই সেই সঙ্গে পোশেকের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড় তৈরি করুক এলাকার পাওয়ার লুম শিল্পীরা। এই প্রকল্পের জন্য সরকার শিল্পীদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করবে"।
ভিন রাজ্যের কাপড় নয়, এবার রাজ্যের তৈরি কাপড়েই স্কুল পোশাক বানানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রাজ্যের গ্রামীন অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করেন তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ক্ষুদ্র ,মাঝারি ও কুটির শিল্পীরা। তাদের দাবি অতীতে এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এর ফলে জেলার তাঁত শিল্প পুনর্জীবন লাভ করবে এবং আগামী দিনে গামছা , লুঙ্গির মত জেলায় তৈরি কাপড় শিল্পীরা বাইরে রপ্তানি করতে পারবে।
রাজ্য সরকার বিনামূল্যে প্রাইমারী থেকে অষ্টম শ্রেনীর পড়ুয়াদের জন্য বছরে দু সেট করে পোশাক দেওয়ার রেওয়াজ চালু করেছেন ।মুলত ওই পোশাক বানোনর জন্য গুজরাত থেকে কাপড় আমদানি করা হত । কিন্তু রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সেই দিনের অবসান ঘটতে চলেছে ।এখন থেকে জেলাতেই পোশাক তৈরীর কাপড় বানানোর পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে ।এই পরিকল্পনার বাস্তব রুপ দিতে জেলার পাওয়ার লুম শিল্পী দের নিয়ে বৈঠক করা হয়।
বৈঠকে প্রশাসনিক ভাবে জানান হয়েছে ওই কাপড় বানাতে যে সুতো প্রয়োজন হবে তা সরকার বিনামূল্যে সরবরাহ করবে এবং উৎপাদিত কাপড় অন্তত পক্ষে তিন বছর রাজ্য সরকার নিজেই ক্রয় করে নেবে। এই ব্যাপারে বঙ্গশ্রীর সদস্য পোশাক শিল্পী আব্দুর রহিম বলেন , “ এই উদ্যোগের ফলে জেলার পাওয়ার লুম শিল্পীরা কাপড় বানানোর সাহস পাবেন এবং এই পদ্ধতির ফলে অচিরেই রাজ্যের বয়ন শিল্পের একটি বাজার তৈরি হবে। স্বাভাবিক ভাবে ধীরে ধীরে জেলার তাঁত শিল্পীদের সুদিন ফিরে আসবে।”
অন্যদিকে জেলা চেম্বারস অব কমার্সের সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন , “ এত দিন বাইরে থেকে কাপড় আমদানি করতে গিয়ে খরচ বাড়ত, এখন জেলায় তৈরী কাপড় থেকে পোশাক বানানো হবে। এতে জেলার ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটবে।”