সংক্ষিপ্ত

দীপাবলিতে উৎসবের আমেজ বাংলায়
করোনা বিধি মেনে কালীপুজোর আয়োজন উদ্যোক্তাদের
রামপুরহাটের দীনবন্ধু ক্লাবের পুজোর এবার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ
পঞ্চাশতম বর্ষে থিম মাদুর শিল্প
 

আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: বীরভূমের রামপুরহাট শহরের চালধোয়ানি পাড়ার পুকুর পাড়ে কালীপুজো শুরু করেছিলেন কয়েকজন যুবক। দীনবন্ধু ক্লাবের সেই পুজো এবার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে পা দিল। ৫০ তম বর্ষের ফিরেছে পুরনো জৌলুস।

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে তারা মায়ের পুজোয় নানা অজানা ইতিহাস, চোখ রাখুন ঐতিহাসিক কালীপুজোয়

সালটা ১৯৭১। সে সময় ব্যবসায়ী শমভু পোদ্দার, শঙ্কর মণ্ডল, প্রদীপ দাসদের মতো কয়েকজন যুবক চালধোয়ানি পাড়ায় কালী পুজো শুরু করেন। সে সময় রামপুরহাট শহরে চারটি পুজোয় থিমের প্রতিযোগিতা হত। পুজো দেখতে ভিড় জমাতেন বহুমানুষ। বন্ধ হয়নি বটে, তবে উদ্যোক্তাদের কয়েকজন মারা যাওয়ার পর জৌলুস কমছিল পুজোর। এবার পঞ্চাশ তম বর্ষে এই পুজোর থিম মাদুর।

আরও পড়ুন: দীপাবলিতে বাজির বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান, ভাঙড়ে উদ্ধার লক্ষাধিক টাকার বাজ

এখন প্লাস্টিকের চেয়ার-টেবিলে কদরই বেশি। মাটিতে আর ক'জনই বা বসেন! ফলে কোনও বাড়িতে আর ঘাসের তৈরি মাদুর দেখা যায় না। ঘাসের তৈরি সেই মাদুর দিয়ে এবার তৈরি করা হয়েছে রামপুরহাটের চালধোয়ানি পাড়ার দীনবন্ধু ক্লাবের পুজো মণ্ডপ। আর সঙ্গে টেরাকোটা শিল্পের কাজ। সাবেকি প্রতিমার উচ্চতা বারো ফুট। পুজো কমিটির সম্পাদক বাদশা পোদ্দার বলেন, 'আমাদের বাবা-জ্যাঠারা পুজো শুরু করেছিলেন। সেই পুজো পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পেরে ভালো লাগছে। এবার আমরা মাদুর দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করেছি। কারণ, মাদুর দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। মাদুর শিল্পে প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলাম।' কালীপুজো উপলক্ষ্যে রক্তদান শিবির, দুঃস্থদের কম্বল বিতরণের মতো সামাজিক কর্মসূচিও নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। তবে করোনা আতঙ্কের কারণে এবার হচ্ছে না সাংস্কৃতিক।