সংক্ষিপ্ত
- ভাঙড়ের শানপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা
- বিজয় মিছিলের বদলে চটুল নাচের আসর
- আয়োজনের দায়িত্বে তৃণমূল নেতারা
- অভিযোগ অস্বীকার আরাবুল ইসলামের
বিজয় মিছিল হয়নি, তার বদলে চটুল নাচ। তৃণমূল নেতৃত্বের উদ্যোগেই ভাঙড়ে চটুল নাচের আসর বসানোর অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার রাতে এমনই চটুল নাচের আসর বসল শানপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিমকুঁড়িয়া গ্রামে। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এলাকার উপপ্রধান আনসার মোল্লার। একসময় অশ্লীলতার মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে ওই নাচের আসর ছেড়ে শিশুদের নিয়ে চলে যান গ্রামের মহিলারা। নাচের মধ্যে শরীরের পোশাকও খুলতে শুরু করেন নর্তকীরা। সেই দৃশ্য মোবাইলেও বন্দি করতে থাকেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত খবর পেয়ে কাশীপুর থানার পুলিশ এসে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। পরে অনুষ্ঠান আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী তিন লক্ষের বেশি ভোটে জয় লাভ করেছেন। আর এই জয়ের পিছনে অন্যতম মূল কারণ ছিল ভাঙড় বিধানসভা থেকে পাওয়া প্রায় আশি হাজার ভোটের লিড। ভাঙড় বিধানসভার মধ্যে অন্যতম শানপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতও দলের প্রাথীকে ভালো লিড এনে দেওয়ায় এলাকার বাসিন্দাদের বিনোদনে এই চটুল নাচের আসর আয়োজন করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। যদিও এই অনুষ্ঠানের সমালোচনা করে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের দাবি, এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।
শুধু জলসা বন্ধ করাই নয়, এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। ওই অনুষ্ঠানের যিনি সঞ্চালক ছিলেন, সেই শ্যামল ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি কাশীপুরের ঘোষপাড়ার বাসিন্দা। শকবত মোল্লা এবং বাপি শেখ নামে দু' জনকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁরা ওই অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি আর কারা ওই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, তাও খোঁজ করে দেখছে পুলিশ। ধৃতরা তিনজনই এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত।