সংক্ষিপ্ত

  • বালুরঘাটে ফের পথ দুর্ঘটনা
  • বাইক ট্র্যাক্টর সংঘর্ষে মৃত্যু হল তিনজনের
  • মৃতদের মধ্যে দু' জন একই পরিবারের সদস্য


জেলায় দুর্ঘটনার সংখ্যা কমাতে হবে। কয়েক সপ্তাহ আগেই দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে পুলিশ সুপারকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশের পরেও পুলিশ কতটা সজাগ হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল বালুরঘাট। এ দিন জাতীয় সড়কের উপরে ট্র্যাক্টরের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল তিনজনের। তাঁদের মধ্যে দু' জন সম্পর্কে কাকা এবং ভাইপো। 

এ দিন দুপুরে এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘটে বালুরঘাট থানার পাগলিগঞ্জে। বালুরঘাট শিলিগুড়ির মধ্যে সংযোগকারী ৫১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে এই দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃত দুই বাইক আরোহীর নাম  গোপাল পাহান ও শিবা পাহান। তাঁরা সম্পর্কে কাকা এবং ভাইপো। দু' জনেরই বাড়ি বালুরঘাট শহরের  মাহিনগর সেন্টপিটার্স স্কুল পাড়ায়।  তবে মৃত তৃতীয় ব্যক্তি বাইক আরোহীই ছিলেন নাকি তিনি পথচারী, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। ঘটনার পরই অভিযুক্ত ট্যাক্টর চালক পালিয়ে যায়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্র্যাক্টরটি বালুরঘাট থেকে পতিরামের দিকে যাচ্ছিল। উল্টো পথে মোটরবাইকে চড়ে বালুরঘাটে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন গোপাল ও শিবা পাহান। মোটরবাইকটি যথেষ্ট গতিতে আসছিল বলেই জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আচমকাই ট্র্যাক্টরটির সঙ্গে সেই মোটরবাইকের সংঘর্ষ হয়। ট্র্যাক্টরটি আটক করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। 

বালুরঘাটে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে জেলায় পথ দুর্ঘটনা নিয়ে মানুষকে সতর্ক করতে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচির প্রচারে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জাতীয় সড়কের উপরে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলি চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতেও বলেন তিনি। তার পরেও পুলিশ বা সাধারণ মানুষ যে সেভাবে সতর্ক হয়নি, এ দিনের দুর্ঘটনাই তার প্রমাণ।