সংক্ষিপ্ত
বারাসাত পৌরসভা দুই নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা টিকেন্দ্রনাথ সরকার নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্দল হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় প্রার্থী প্রত্যাহার করার জন্য শাসকদলের তরফ থেকে নেমে এসেছে হুমকি।
বারাসাত পৌরসভার (Barasat Municipality) দুই নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থীকে (independent candidate) প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ (trying to assassinate) উঠল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষোভ-বিক্ষোভের দেখা দিয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয় ভোটে দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল কর্মীরা। এই সমস্ত নির্দল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। টিকিট না পেয়ে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে যারা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের প্রত্যেককেই বহিষ্কার করা হয়েছে দল থেকে।
ঠিক একইভাবে বারাসাত পৌরসভার এলাকার মোট নয়টি ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী রয়েছে। বারাসাত পৌরসভা দুই নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা টিকেন্দ্রনাথ সরকার নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্দল হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় প্রার্থী প্রত্যাহার করার জন্য শাসকদলের তরফ থেকে নেমে এসেছে হুমকি। প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করার জন্য বেশ কয়েকবার তার উপরে শাসকদলের নেতাকর্মীরা চড়াও হয়েছে বলেও অভিযোগ এই নির্দল প্রার্থীর।
প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করার জন্য ঘর ছাড়াও ছিলেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তার অভিযোগ আজ সকালে শিক্ষকতা সেরে বাড়ি ফেরার সময় বারাসাত ব্যারাকপুর রোডে দুই যুবক তাঁকে ফলো করতে থাকে। এর পরেই হঠাৎ করে তার গাড়িতে পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর এই চলন্ত গাড়ি নিয়ে রাস্তার ধারে পড়ে যান নির্দল প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ বারাসাত পৌরসভা দু নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মিলন সর্দারের নির্দেশেই তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য এই আক্রমণ করা হয়েছিল। আহত অবস্থায় বারাসাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই নির্দল প্রার্থী।
রাজ্যে দোরগোড়ায় ১০৮ পুরসভার নির্বাচন। রাজ্যে ১০৮ পুরসভার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই বাংলা জুড়ে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। বিক্ষোভের জেরে কোথাও কোথাও আবার প্রার্থী বদলও হয়েছে। তবে তাতেও সম্পূর্ণ ভাবে সামাল দেওয়া যায়নি ক্ষোভ। দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যান দলেরই প্রাক্তন কাউন্সিলার ও নেতা নেত্রীরা। এরপরেই দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে এবং ভোটারদের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের ইমেজ তুলে ধরতে কড়া পদক্ষেপ নেয় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।