সংক্ষিপ্ত
ইতিমধ্যেই মোট ছয়টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে
এবার জন বারলার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামল তৃণমূল
কোচবিহার জুড়ে বিক্ষোভ তাঁর বিরুদ্ধে
পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি নিয়ে বাড়ছে রাজনীতির আঁচ
কোচবিহারের বিভিন্ন থানা মিলিয়ে বিজেপি সাংসদ জন বারলার বিরুদ্ধে মোট ছয়টি অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার, একেবারে রাস্তায় নেমে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। কোচবিহার শহরের ভবানীগঞ্জ বাজার, মাথাভাঙ্গা, ১ নম্বর ব্লকের ফলিমারী গ্রাম পঞ্চায়েত, দিনহাটা এবং তুফানগঞ্জে আলাদা আলাদাভাবে জন বারলার কুশপুতুল দাহ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তৃণমূল ছাত্রপরিষদ এবং যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি নিয়ে একটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির আহ্বান জানিয়েছিলেন জল বারলা। তারপর থেকে এই দাবি নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতোর চলছে। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবির সমর্থনে-বিরুদ্ধে পোস্টের বন্যা বইছে। তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক সংঘাতও উঠেছে চরমে। এই অবস্থায় এদিন কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারে যুব তৃণমূল নেতা সায়নদীপ গোস্বামীর নেতৃত্বে বিজেপি সাংসদের কুশপুতুল দাহ করা হয়। ১ নং ব্লকের ফলিমারি অঞ্চলের সাতমাইল বাজারে জন বারলার কুশ পুতুল দাহ করে যুব তৃণমূল ৷ একই ধরনের বিক্ষোভের চিত্র প্রদর্শিত হয় মাথাভাঙ্গা, দিনহাটা এবং তুফানগঞ্জেও।
'বাংলা ভাগের চক্রান্ত' রুখে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁরা লাগাতার পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং খাদ্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি এবং করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা নিয়েও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। যুব তৃণমূলের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ফলিমারি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান শিশির ঈশোর, যুব কনভেনার নারায়ণ বর্মন, কোচবিহার ১ নং ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি মনজুদার রহমান, ফলিমারি অঞ্চল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি অর্পণ রায় ঈশোর প্রমুখ।
জেলা যুব তৃণমূলের পক্ষে সায়নদ্বীপ গোস্বামী জানান, রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে না পেরে বিজেপি নোংরা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার বড়-সড় চক্রান্ত হচ্ছে। ধর্মের নামে রাজনীতি, মানুষের জাত নিয়ে রাজনীতি, অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের দাবি উঠলে রাজনীতি, দেশের কৃষকদের নিয়ে রাজনীতি - এটাই বিজেপির একমাত্র কাজ। উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, মানুষের মৌলিক অধিকার তাদের কাছে গৌণ। এর বিরুদ্ধে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, জেলা যুব তৃণমূল, জেলার সকল স্তরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ সর্বদা লড়তে প্রস্তুত।
উত্তরবঙ্গকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চব হিসাবে ঘোষণা করার প্রস্বা উঠতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এর পিছনে বাংলা ভাগের চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন। উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবি, রাজ্য বিজেপির নতুন প্রকল্প, বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এর বিরুদ্ধে সর্বাত্বক আন্দোলনের পথে হাঁটছে তৃণমূল।