সংক্ষিপ্ত

  • করোনা আবহে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল
  • পুর প্রশাসকের সঙ্গে মতবিরোধ কাউন্সিলরদের
  • কো-অর্ডিনেটর পদ থেকে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ
  • চিঠি পাঠালেন দলের জেলা নেতৃত্বকে
     

আশিষ মণ্ডল, বীরভূম:  দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা বাদ সাধছেন খোদ পুরসভা প্রশাসকই! তিনি আবার বিদায়ী চেয়ারম্যানও বটে। বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে এবার ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তৃণমূলের দশজন কাউন্সিলর। করোনা আবহে বিতর্ক তুঙ্গে বীরভূমের রামপুরহাটে।

আরও পড়ুন: প্রধান শিক্ষকের তুঘলকি সিদ্ধান্ত, করোনার মধ্য়ে স্কুল খুলে ক্লাস ঘাটালে

খাতা-কলমে পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ। করোনা সংক্রমণের কারণে আপাতত নির্বাচন স্থগিত। কলকাতা-সহ রাজ্যের সমস্ত পুরসভায় বিদায়ী চেয়ারম্যানকে প্রশাসক পদে বসিয়েছে সরকার। এলাকায় করোনা পরিস্থিতি উপর নজর রাখার জন্য ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিদায়ী কাউন্সিলরদেরই। ব্যক্তিক্রম নয় বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভাও।

রামপুরহাট পুরসভায় তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয় মে মাসে। এরপর বিদায়ী চেয়ারম্যান অশ্বিনী তিওয়ারিকেই প্রশাসক পদে বসানো হয়। প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হন  বিদায়ী  ভাইস চেয়ারম্যান সুকান্ত সরকার। কিন্তু মাস খানেক বাদে রদবদল ঘটে পুর প্রশাসনে। বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্য়ানকে সরিয়ে প্রশাসক বোর্ডের সদস্য করা হয় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর মীনাক্ষী ভকতকে।  আর তা নিয়ে যতই গন্ডগোল! দলের আভ্যন্তরীণ মত বিরোধের কারণে ওয়ার্ড কো অর্ডিনেটরের পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে চিঠি পাঠালেন বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার দশজন কাউন্সিলর। তৃণমূলের জেল সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ ও চেয়ারম্যান আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: কোন কোরান থেকে বিজেপি না করার ফরমান, ইমাম অ্যাসোসিয়েশকে প্রশ্ন সংখ্য়ালঘু সেলের

সূত্রের খবর, বিদায়ী কাউন্সিলরদের চিঠি পাওয়ার পর মঙ্গলবার তড়িঘড়ি সভাও ডাকেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার চেয়ারম্যান তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁর দাবি,  'ইস্তফার কোনও চিঠি আমার কাছে আসেনি। সভায় যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে দলীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম।' এদিকে রামপুরহাটের চার নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর আব্বাস হোসেন বলেন, 'যেখানে বিদায়ী কাউন্সিলরদের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না, সেখানে থাকার কোনও মানে নেই। পদত্যাগ করতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।'