সংক্ষিপ্ত

ঝালদা থানায় হামলার লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন হেঁসাহাতু পঞ্চায়েতের স্থানীয় সংসদ সদস্য তৃণমূলের উমেশ সাউ। তারপর শনিবার বিক্রম রজক ও ঈশ্বর মাহাত নামে দু'জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

তৃণমূল নেতার উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল দুই বিজেপি কর্মীকে। ঝালদা থানার ইচাহাতু গ্রামের ঘটনা। ঝালদা থানায় হামলার লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন হেঁসাহাতু পঞ্চায়েতের স্থানীয় সংসদ সদস্য তৃণমূলের উমেশ সাউ। তারপর শনিবার বিক্রম রজক ও ঈশ্বর মাহাত নামে দু'জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

 

উমেশের অভিযোগ, শনিবার বিকেলে বাড়ি ফেরার সময় গ্রামে ঢোকার মুখে বিক্রম ও ঈশ্বর দু'জনে মিলে অতর্কিতে হামলা চালায়। লম্বা লাঠি নিয়ে মাথায় আঘাতের চেষ্টা করে। কোনওরকমে প্রাণে বাঁচেন তিনি। 

আরও পড়ুন- ভূমি দপ্তরের নাকের ডগায় সরকারি জমি দখল, চলছে রমরমিয়ে আইনি বালি খাদানের কারবার

এরপর বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে উমেশবাবু বলেন, "গত ২৬ জুলাই হেঁসাহাতু গ্রাম পঞ্চায়েতে সাধারণ সভা ছিল। সেখানে ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকার গরমিল হয়েছে। আমি তার হিসাব চেয়ে প্রতিবাদ করি। তখন থেকেই আমি বিজেপির কু-নজরে ছিলাম। হয়তো সেই উদ্দেশ্যেই আমাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।"

আরও পড়ুন- 'বিপ্লব দেব ভাবছেন ত্রিপুরায় আসতে তাঁর থেকে ভিসা নিতে হবে', আগরতলায় পৌঁছেই তোপ অভিষেকের

ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ঝালদা ১ নম্বর ব্লক যুব সহ সভাপতি বিনয় মাহাত। এদিকে হেঁসাহাতু অঞ্চল এসটি মোর্চার সভাপতি ভগীরথ সরেন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, এই বুথে তৃণমূলের প্রতি মানুষের আস্থা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছিল। বিজেপির সমর্থক বাড়ছিল। এই গ্রামটিতে বিজেপির হয়ে মানুষের পাশে থাকত বিক্রম ও ঈশ্বর তাই তাদেরকে সরানোর জন্য মিথ্যে মামলায় জড়ানো হচ্ছে। 

আরও পড়ুন- ভাতারে গ্রেফতার বাংলাদেশি ব্যক্তি, অনুপ্রবেশের কারণ জানতে দফায় দফায় জেরা

আরও পড়ুন- "প্রয়োজনে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখুন", খড়্গপুরের বিজেপির মহিলা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মন্তব্য দিলীপের

আজ দুই অভিযুক্তকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। 

YouTube video player