সংক্ষিপ্ত

অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিজেপি বিধায়ক স্বপন মণ্ডল। তিনি বলেন টিএমসি নেতাকে হাসপাতালে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হতে পারে। এই মন্তব্যের নিন্দা করেছে তৃণমূল

তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে আর হাসপাতাল থেকে ফিরতে দেওয়া হবে না। - এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিজেপি বিধায়ক স্বপণ মণ্ডল। রবিবার বিজেপির একটি কর্মসূচিতে তিনি বলেন, 'বাগটুইয়ের মাস্টারমাইন্ড অনুব্রত মণ্ডল। তিনি এখন পেট ফুলিয়ে উডবার্ন ওয়ার্ডে শুয়ে আছেন। আমার তো মনে হয়ে মমতা ওই উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে তাঁকে আর বাড়ি ফিরতে দেবেন না। কারণ উনি যদি ফেরেন তাহলে সিবিআইয়ের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারের সব কুকীর্তি উগরে দিতে হবে। তাহলে ভাইপো পার্থ চট্টোপাধ্যায় - সকলকেই জেলে যেতে হবে।' 


তবে বিজেপি বিধায়ক স্বপণ মণ্ডল এখানেই শেষ করেননি তাঁর ভাষণ। এরপর তিনি আরো বলেন, অনুব্রত মণ্ডল ভেবেছেন তিনি উডবার্ন ওয়ার্ডে শুয়ে শুয়ে সিবিআই-এর হাত থেকে বেঁচে যাবেন। এটা কখনই হবে না। তিনি আরও বলেন অনুব্রত মণ্ডলকে আগামী দিনে সিবিআই-এর কাছে যেতে হবে। তা না হলে 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষাক্ত ইন্জেশনে মরতে হতে পারে।' উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর চাঁদাপাড়ায় বিজেপি প্রতিবাদ কর্মসূচিতে এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করেন জনপ্রতিনিধি স্বপণ মণ্ডল। 

বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গোপাল শেঠ। তিনি আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন বিজেপি বিধায়ক এবার অংসলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। এজাতী মন্তব্য কোনও জনপ্রতিনিধিকে শোভা পায় না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। 

সম্প্রতি গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করার জন্য হাজিরা দিতে বলেছিল সিবিআই। সিবিআই দফতরে যাওয়ার জন্যই অনুব্রত মণ্ডল তাঁর কলকাতার বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন। দলীয় সূত্রের খবর মাঝপথে তিনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে তাঁকে গাড়ি ঘুরিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। তারপর থেকেই তিনি এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। এইস ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকেই রাজ্যরাজনীতি উত্তাল হচ্ছে। বিরোধীদের বক্তব্য জেরা এড়াতেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি।  

অন্যদিকে বাগটুইকাণ্ডের তদন্তের ভারও নিয়েছে সিবিআই। এই ঘটনার আগেই অনুব্রত মণ্ডলের নাম জড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মীরা। ঘটনার তদন্তে সিবিআই তাঁকেও জেরা করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। যদিও সিবিআই-এখনও এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেনি। অন্যদিকে গরুপাচারকাণ্ডে আর্থিক তছরুপের তদন্ত শুরু করেছে ইডি। সামনে রীতিমত বড় সমস্যা রয়েছে বলেও আশঙ্কা করছে অনুব্রতর অনুগামীরা।স