সংক্ষিপ্ত
- পাঁচিলকে দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্বভারতীতে ভাঙচুর
- নেপথ্যে কারা? সিবিআই তদন্তের দাবি বিরোধীদের
- সেই দাবিকে সমর্থন করলেন অনুব্রত মণ্ডলও
- নিন্দা করলেন পাঁচিল ভাঙার
আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: বিশ্বভারতীকাণ্ডে এবার কি তবে সিবিআই তদন্ত হবে? বিরোধীদের দাবিকে সমর্থন করলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শুধু তাই নয়, পেলোডার দিয়ে বিশ্বভারতীর গেট ভাঙার তীব্র নিন্দা করলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীতে মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিদল, সিবিআই তদন্তের দাবি অগ্নিমিত্রার
বিশ্বভারতীকাণ্ডে বিতর্ক অব্যাহত শান্তিনিকেতনে। পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্রে ক্যাম্পাসে ভাঙচুরের নেপথ্যে কারা? খোদ পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছেন বিজেপির মহিলা মোর্চা রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। তাঁর প্রশ্ন, 'হাজার হাজার বহিরাগত ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ল। আর পুলিশ তা জানতে পারল না, কিছু করতে পারল না?'' তাঁর আরও অভিযোগ, ঘটনার সময়ে শান্তিনিকেতন থানায় ছিলেন বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিং। উপাচার্য নিজে বারবার ফোন করা সত্ত্বেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশমন্ত্রী ও শাসকদলের নেতাদের মদতেই ভাঙচুর চলেছে নির্বিচারে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন মহিলার মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী।
আরও পড়ুন: ফের বাংলায় ভর্তির মেধা তালিকায় সানি লিওনের নাম, অভিনেত্রী বললেন কলেজে দেখা হবে
বস্তুত, ঘটনার দিন বোলপুরে যে ধিক্কার মিছিল বেরিয়েছিল, সেই মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউরি, বোলপুর পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর শেখ ওমর। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। রামপুরহাটে দলে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকের পর তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'বিশ্বভারতীর প্রাচীর ভাঙার যেমন নিন্দা করছি, তেমনই প্রাচীর গড়ার বিরোধিতা করছি। আর যদি কেন্দ্র সিবিআই তদন্ত করাই, তাহলে সমর্থন করব।'