সংক্ষিপ্ত
- মুর্শিদাবাদে ফের এক তৃণমূল নেতার উপরে হামলা
- রবিবার সন্ধ্যায় হামলার ঘটনা খড়গ্রামে
- তৃণমূলের বুথ সভাপতি মইনুল শেখের উপরে হামলা
- গুরুতর আহত অবস্থায় আহত নেতাকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় স্থানান্তর
মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাদের উপর হামলা অব্যাহত। মাত্র সপ্তাহখানেক আগেই বাড়ি ফেরার পথে কান্দি থানার গোসাইডোবা মোড় এলাকায় মাঝ রাস্তায় পথ আটকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পেটে ও পরে পা তাক করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূল নেতা তথা শাসক দলের কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য জাহাঙ্গির শেখকে।
এর জের কাটতে না কাটতেই এবার সন্ধ্যাবেলা খড়গ্রামের বালিয়াহাট গ্রামে তৃণমুলের বুথ কমিটির সভাপতি মইনুল শেখকে খুনের লক্ষ্যে গুলি করা হল। স্থানীয় বালিয়াহাট পিরতলা এলাকায় মুখে কাপড় বাঁধা দুষ্কৃতীর দল ওই তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে তাঁর উপরে হামলা চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ ওই নেতা রাস্তায় পড়ে যেতেই এলাকা ছেড়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত নেতাকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় এক কংগ্রেস সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার সন্ধ্যায় নিজের মোটরবাইকে চড়েই ফিরছিলেন তৃণমূল নেতা মইনুল শেখ। সেই সময়েই তাঁর উপরে হামলা চালানো হয়। মুখে কাপড় বাঁধা কিছু দুষ্কৃতীর ছোড়া গুলি লাগে তৃণমূল নেতার পেটে ও পিঠে। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ভর্তি করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হলে মইনুলকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
ওই তৃণমুল নেতার ছেলে আতানুস শেখ খড়গ্রাম থানায় চারজন দুস্কৃতীর নামে লিখিত অভিযোগ জানান। পুলিশ সেই মতো তদন্তে নেমে জাকির শেখ নামের এক অভিযুক্ত কংগ্রেস সমর্থককে গ্রেফতার করে। ধৃতকে জেরা করে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
আহত নেতার ছেলে আতানুস শেখ বলেন,'আমার বাবাকে চক্রান্ত করে নৃশংসভাবে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল কংগ্রেস। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।' এই হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমুল সভাপতি তথা মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ আবু তাহের খান বলেন,"তৃণমুলকে শেষ করতে কংগ্রেস -বিজেপি মিলে এলাকায় একের পর এক খুন জখমের কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছে। তবে এই ভাবে মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের ক্ষতি করা সম্ভব নয়।' যদিও অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে অধীর চৌধুরীর রাজনৈতিক সচিব জয়ন্ত দাস বলেন,'এটা তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে গোলমালের ফল, নজর ঘোরাতে ওরা এখন অন্যের ঘাড়ে দোষ দিচ্ছে।'