সংক্ষিপ্ত

  • উন্নয়নের প্রশ্নের মুখ পড়ল অনুব্রতের
  • কর্মিসভায় চ্যালেঞ্জ  ছুঁড়লেন দলেরই বুথ সভাপতির
  • মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন
  • কটাক্ষ কংগ্রেসের জেলা সভাপতির
     

আশিষ মণ্ডল, বীরভূম:  'বাম আমলে রাস্তায় সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করা যেত। আমাদের আমলে সাইকেলও চলে না।' ভরা কর্মিসভায় উন্নয়নের প্রশ্নে এবার খোদ অনুব্রত মণ্ডলকে পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূলের এক বুথ সভাপতি। মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন, কটাক্ষ বিরোধীদের।

আরও পড়ুন: যত্রতত্র পড়ে গুলির খোল, বাড়িতে ভাঙচুর, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হাসনাবাদ

শিয়রে বিধানসভা ভোটে। টিম পিকে-র নির্দেশে বীরভূমে ব্লকে ব্লকে বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলন করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সম্মেলনে রীতিমতো মাইক ধরিয়ে দিয়ে দলের অঞ্চল ও বুথ সভাপতির কাছে কৈফিয়ত চাইছেন তিনি।  কীভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এলাকা জনসংযোগ আরও বাড়াতে হবে, দিচ্ছেন সেই পরামর্শও।

বুধবার তৃণমূলের বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলন ছিল সিউড়ি নম্বর ব্লকে। স্থানীয় দমদমা অঞ্চলের মাঝিগ্রাম বুথের সভাপতি গণেশ রায়ের কাছে অনুব্রত জানতে চান, 'লোকসভা ভোটে কেন ওই বুথে তৃণমূল প্রার্থী দুই ভোটে পিছিয়ে ছিলেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে কি মানুষের ভরসা নেই?' শাসকদলের বুথ সভাপতি জবাব,  'ভরসা ছিল, কিন্তু এখন আর নেই। মাঝিগ্রাম থেকে হাতোড়া যাওয়ার রাস্তাটি পাকা হয়নি। বর্ষায় যাতায়াত করা যায় না। শৌচাগার তৈরি হলেও রিং বসেনি, লাগানো হয়নি দরজা। মানুষ বীতশ্রদ্ধ।  বাম আমলে রাস্তায় সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করা যেত। এখন হেঁটে যাওয়া যায় না! গ্রামের ভিতর সব রাস্তা ভালো নেই।' এরপর কিছুটা মেজাজ হারান তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। বলেন, 'এত উন্নয়ন, তাও আপনার পেট ভরবে না!' পাল্টা জবাব আসে, 'কি এমন পেলাম, যে পেট ভরবে! মানুষ চাই রাস্তা, পানীয় জল, বিদ্যুতের খুটিতে আলো। সেসব কিছুই হয়নি।' 

আরও পড়ুন: চেন্নাইয়ের বীরালক্ষ্মীই কি দেশের প্রথম অ্যাম্বুলেন্স চালক, চ্যালেঞ্জ কিন্তু দিচ্ছেন এক বঙ্গকন্যাও

বুথ সভাপতি বক্তব্যের সমর্থনে তখন রীতিমতো হাততালি দিচ্ছেন তৃণমূলের কর্মীরা। ঘটনায় ক্ষুদ্ধ অনুব্রত মণ্ডল বুথ সভাপতির পদ থেকে গণেশ রায়কে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। সভাস্থল থেকে একে একে বেরিয়ে যেতে শুরু করেন দলের কর্মীরা। শেষপর্যন্ত জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ হাতজোড় করে সকলেই সভায় ফিরিয়ে আনেন। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।  কংগ্রেসের বীরভূমের জেলা সভাপতি সঞ্জয় অধিকারীর কটাক্ষ,  'মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন। এটাই ওই দলের পক্ষে অশনিসংকেত। এবার সর্বত্র মানুষ অনুন্নয়নের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে। এটাই শুরু।'