সংক্ষিপ্ত

কুণাল ঘোষ টেনে আনেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। কুণাল বলেন একাধিকবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। অভিষেক কোনও অন্যায় করেননি।

 অনুব্রত মণ্ডলকে  নিয়ে এবারও মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তবে এদিন কুণাল ঘোষের মন্তব্য ছিল অনেক কুশলী।  তিনি বলেন অনুব্রত অসুস্থ হলে তা চিকিৎসকরা বুঝবেন। তবে তাঁকে নাকি যতবার সিবিআই ডেকেছিল ততবারই তিনি গিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও সিবিআই-এর মুখোমুখি হয়েছিল।  তবে প্রথম কুণাল ঘোষও অনুব্রত মণ্ডলের বিষয়ে কথা বলতে চাননি।  পরে সুকৌশলে তিনি বলেন, 'অনুব্রতর আইনজীবীরা কী পরামর্শ দিয়েছেন, সেটা তাঁরই ব্যাপার। এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। তাঁর শরীর যদি অসুস্থ হয় তাহলে তা চিকিৎসকরা বুঝবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলব, আমি কোনও দিন কোনও অন্যায় করিনি। তাই সিবিআই , ইডি, থানা যে যখন ডেকেছে নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ মিনিট আগে উপস্থিত হতাম।' সঙ্গে তিনি যোগ করেন কেউ বলতে পারবে  না জেরার ভয়ে কুণাল আসেনি। 

কুণাল ঘোষ এখানেই শেষ করেননি। কথা প্রসঙ্গে তিনি টেনে আনেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। কুণাল বলেন একাধিকবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। অভিষেক কোনও অন্যায় করেননি। তাই তিনি সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দিয়ে মাথা উঁচু করে বেরিয়ে এসেছে। কুণাল ঘোষকে সারদাকাণ্ডে জেরা হয়েছিল। তাঁকে দীর্ঘদিন জেলেও কাটাতে হয়েছিল। অন্যদিকে কয়লাকাণ্ডে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি একাধিকবার ডেকে পাঠিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।


বাগটুইয়ের ঘটনার পর থেকেই বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। সেই দূরত্ব আরও একবার প্রকাশ্যে এল বুধবার সিবিআইয়ের তলবের পরই হাসপাতালে অনুব্রত মণ্ডলের ভর্তির ঘটনা নিয়ে। গরুপাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এদিন নিজাম প্যালেসে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পথেই অনুব্রত অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। তবে অনুব্রত জানিয়েছেন তাঁর নাকি সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি তা পারলেন না। সিবিআই কর্তারা যদি হাসপাতালে এসে জিজ্ঞাসা করেন তাহলে তাঁর আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। গরু পাচারকাণ্ডে এই নিয়ে পঞ্চমবারের মত সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল। 

বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডল ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতাল। তাঁর জন্য তৈরি হয়েছে একটি মেডিক্যাল বোর্ডও। এদিন অনুব্রত মণ্ডল তাঁর আইনজীবী মারফত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন সিবিআই দফতরে। সূত্রের খবর সিবিআই কর্তাদের হাসাপাতালে জিজ্ঞাসাবাদের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। ঘনিষ্ট মহলে তিনি বলেছেন সিবিআই দফতরে যাওয়ার ইচ্ছে তাঁর ছিল। সেইজন্য রাতে ছিলেন চিনারপার্কের বাড়িতে। কিন্তু বাধ সাধল বুকে ব্যাথা। 

'নিজের স্বার্থে অনড় ভারত', বিজেপির ৪২তম প্রতিষ্ঠা দিবসে বললেন নরেন্দ্র মোদী

ভরদুপুরে বন্ধ জোমাটো -সুইগি, খাবার অর্ডার দিতে না পেরে নাজেহাল গ্রাহকরা

রাহুল গান্ধীকে নিজের লক্ষ টাকার সম্পত্তি দিলেন বৃদ্ধা, বললেন কংগ্রেস নেতা ১০ সোনা দিতে পারবেন স্ত্রীকে