সংক্ষিপ্ত
পানিহাটি পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনুপম দত্তের বাড়িতে তার পরিবারের লোকজনের সাথে দেখা করতে গেলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। পরিবারের সদস্যদের দিলেন পাশে থাকার বার্তা।
পানিহাটিতে কাউন্সিলর খুনে গত কয়েকদিন ধরেই তীব্র চাপানউতর চলছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এমনকী রাজনৈতিক তরজায় বারেবারেই সংঘাতের আবহ তৈরি হচ্ছে শাসক-বিরোধীদের মধ্যে। এরইমধ্যে এবার পানিহাটি পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের(Ward number eight of Panihati municipality) তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনুপম দত্তের বাড়িতে তার পরিবারের লোকজনের সাথে দেখা করতে গেলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র(Kamarhati MLA Madan Mitra)। তার বাড়িতে এসে তার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা ও পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। পরিবারের লোকজনের নিরাপত্তার দাবিও জানিয়েছেন মদন মিত্র। এমনকী আগামীতে তাদের সুবিধা অসুবিধায় সর্বতোভাবে পাশে থাকারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ।
এদিকে মদন মিত্রের আগমণ প্রসঙ্গে মৃত কাউন্সিলর অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত বলেন, নির্মল ঘোষ থেকে ববি হাকিম প্রত্যেকেই পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। আর আজ বিধায়ক মদন মিত্র তাদের পরিবারের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই মিলছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই ঘটনায় শুরুতেই গ্রেফতার করা হয় ৩ জনকে। ধৃতদের মধ্যে দুজন পানিহাটি পুরসভার আগরপাড়া এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। বারুইপুরে রাতভর তল্লাশি চালিয়ে আটক করা হয় এই তিনজনকে। জানা গেছে এদের থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র কেনে মূল অভিযুক্ত অমিত। গ্রেফতার করা হয়েছে পানিহাটি পুরসভার ঠিকাদার বাপি ওরফে সঞ্জীব পণ্ডিতকে। খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের সরাসরি যোগ রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
আরও পড়ুন- ৪ রাজ্যে বড় জয়ের পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বেকায়দায় পড়তে পারে বিজেপি, কেন এমন বললেন মমতা
এদিকে এর আগে মৃত অনুপম দত্তের স্ত্রী জানান, পুলিশের উপর তাঁর কোনও আস্থা নেই। সিবিআই বা সিআইডির তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সদ্য স্বামীহারা মীনাক্ষী দত্ত। তিনি একবার দেখা করতে চান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। তাঁর মনের কথা একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীকেই জানাবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এদিকে তারপর থেকে একের পর এক তাবড় তাবড় তৃণমূল নেতারা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। অন্যদিকে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হলে যে বিভিন্ন শিবিরে নানা চাপ বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এমতাবস্থা এখনও মীনাক্ষী দেবী এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় থাকেন কিনা এখন সেটাই দেখার। এদিকে সাম্প্রতিক ঘটনার দিকে লক্ষ্য রাখলে দেখা যাবে গত ১৩ মার্চ রবিবার সন্ধ্যায় দুষ্কৃতীর গুলিতে খুন হন পানিহাটির আট নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। তারপর থেকেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন- বিধানসভায় অশান্তি পাকাতে মমমতাই উষ্কানি দিচ্ছেন, ফের চাঁচাছোল আক্রমণে শুভেন্দু