সংক্ষিপ্ত
- 'দিদিকে বলো'-র প্রচারে তৃণমূল বিধায়ক
- প্রচারে গিয়ে অস্বস্তিতে গড়বেতার বিধায়ক আশীষ চক্রবর্তী
- বিধায়কের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন গ্রামবাসীরা
কিছু দিন আগেই কলকাতায় দলীয় বৈঠকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন গড়বেতার বিধায়ক আশীষ চক্রবর্তী। এবার 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি নিয়ে গ্রামবাসীদের কাছে গিয়েও তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাঁকে। বিধায়ককে সামনে পেয়ে দলের নেতাদের নানা দুর্নীতি আর সরকারি পরিষেবায় অনিয়মের অভিযোগ উগরে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা ১ নম্বর ব্লকের আমকোপা ৮ নম্বর অঞ্চলে যান গড়বেতার বিধায়ক আশীষ চক্রবর্তী। উদ্দেশ্য ছিল 'দিদিকে বলো' নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলা এবং তাঁদের সমস্যার সমাধান করা। ফতে সিংপুরের সাইনিপাড়া এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে যেতেই সমস্যার সূত্রপাত। বিধায়কের সামনেই ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা জানিয়ে দেন, আশীষবাবু বিধায়ক হওয়ার পরে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ কার্যত স্তব্ধ। সরকারি বাড়ি তৈরির টাকা- সহ অন্যান্য প্রকল্পের সুবিধাও পাননি বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। শুধুমাত্র তৃণমূলের নেতা, কর্মীরাই অনৈতিকভাবে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন- গ্রামে রাত কাটাতে গিয়ে মাতালের খপ্পরে মন্ত্রী, আসানসোলে 'দিদিকে বলো', দেখুন ভিডিও
আরও পড়ুন- কান ধরিয়ে তৃণমূল ছাড়ার হুমকি, শালবনীতে অভিযুক্ত বিজেপি, দেখুন ভাইরাল ভিডিও
এমন কী, পরিষেবা চাইতে গেলে তৃণমূল নেতারা রীতিমতো হুমকি দিতেন বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, আশীষবাবুকেও বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে এলাকায় দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেন কেউ কেউ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের পাল্টা সেভাবে কিছু বলেননি। উল্টে তিনি এবং দলের নেতারা সাধারণ মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, এবার থেকে সব পরিষেবাই ঠিক মতো পাওয়া যাবে। এলাকার বাসিন্দাদের নিজের ফোন নম্বরও দেন বিধায়ক। কার কী অভিযোগ, রয়েছে, একটি খাতায় নিজে হাতে লিখে নিতে দেখা যায় তাঁকে। গ্রামেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। পরে আশীষবাবু বলেন, 'এলাকাবাসী সমস্যার কথা বলেছেন। আমি গুরুত্ব দিয়ে সেগুলি সমাধানের চেষ্টা করব।'