সংক্ষিপ্ত
- তমলুকের তৃণমূব সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী
- মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ কমাতেই ভোটে খারাপ ফল
- প্রকাশ্য সভায় স্বীকারোক্তি তৃণমূল সাংসদের
মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না দলের নেতাদের। সেই কারণেই লোকসভায় তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে বাংলায়। প্রকাশ্যেই এ কথা বললেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ দীর্ঘ দিন সময় পেলেও দলের অনেক নিচুতলার নেতাই বদলাননি।
এ দিন কোলাঘাটে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে দিব্যেন্দু বলেন, 'অতীতে কিছু বিচ্যুতি ছিল। এই এলাকায় কাজ চালাতে গিয়ে কিছু বিচ্যুতি নজরে পড়েছিল। দীর্ঘ সময় তাঁদের দেওয়া হয়েছিল বিচ্যুতি সামাল দেওয়ার জন্য। কেউ চেষ্টা করেছেন, কেউ ইচ্ছা করে করেননি। বাংলায় আঠারোটি আসনে বিজেপি জয়যুক্ত হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি মাটির সঙ্গে, জমির সঙ্গে আমাদের নেতাদের সম্পর্ক অনেক দূরে চলে গিয়েছিল। মানুষের সঙ্গে যে যোগাযোগ, সম্পর্ক রাখা উচিত ছিল, তা রাখতে ব্যর্থ হয়েছিলাম। তার জন্য বাংলায় এই নির্বাচনী ভরাডুবি।'
এর পরেই অবশ্য দিব্যেন্দু বলেন, 'আমরা হেরে যাওয়ার, পিছিয়ে পড়ার পাত্র নই। ওঁদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই। ওঁরা ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স দেখাচ্ছে।'
দলের মধ্যে থেকেই যে এখনও অনেকেই বিশ্বাসঘাতকতা করছেন, তাও এ দিন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তমলুকের সাংসদের কথায়। দলীয় কর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, 'যাঁরা দলের মধ্যে থেকে মীরজাফরের কাজ করেছেন, দলকে হারানোর চেষ্টা করেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করুন। তাঁদের আগামী দিনে দল থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে।'
তবে বিজেপি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখলেও 'নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন' বলে কটাক্ষ করেন দিব্যেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, আগামী পঁচিশ বছর বাংলায় ক্ষমতায় থাকবে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত লোকসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূলনেত্রীও একাধিক বৈঠকে জনসংযোগের উপরেই জোর দিয়েছেন। একই উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি। এ দিন তমলুকের সাংসদও সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বলেন, কোনও সমস্যা হলেই সরাসরি তাঁকে ফোন করতে।