সংক্ষিপ্ত

ভাগীরথী নদীর পূর্ব পাড়ের লালগোলা–শিয়ালদহ শাখার সঙ্গে নদীর পশ্চিম পাড়ের হাওড়া–আজিমগঞ্জ শাখার রেলপথকে জুড়ে দিতে ২০০৬ সালে কাজ শুরু হয় নশিপুর আজিমগঞ্জ রেলব্রিজের। সেই মতো ২০১০ সালে নদীর উপর রেল ব্রিজের কাজ শেষ হয়ে যায়। 

মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) সঙ্গে দিল্লির (delhi) যোগাযোগ স্থাপনে উদ্যোগ গ্রহণ করতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তবে এই উদ্যোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক পরিকল্পনা (Political Strategy) রয়েছে কিনা সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের। বিশেষ সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ নশিপুর আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজ চালু করতে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তৎপর হলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

আর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ এসে পৌঁছাতেই মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা একদিকে নসিপুর আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজ চালু করার ক্ষেত্রে এলাকা পরিদর্শন শুরু করে দিয়েছে জেলা প্রশাসনের কর্তারা। এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান দিল্লি রওনা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য। জেলা শাসক শরদ দ্বিবেদী ও মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খানকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে যান জমি দাতাদের কিছু সমস্যা থাকলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিতে। এরই সঙ্গে বাকি কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। 

এই ব্যাপারে সাংসদ আবু তাহের খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, “দল নেত্রীর নির্দেশ মেনে আমি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে দিল্লি এসেছি। আশা করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ওই সমস্যা দ্রুত সমাধান করা  সম্ভব হবে।” ভাগীরথী নদীর পূর্ব পাড়ের লালগোলা–শিয়ালদহ শাখার সঙ্গে নদীর পশ্চিম পাড়ের হাওড়া – আজিমগঞ্জ শাখার রেলপথকে জুড়ে দিতে ২০০৬ সালে কাজ শুরু হয় নশিপুর আজিমগঞ্জ রেলব্রিজের। সেই মতো ২০১০ সালে নদীর উপর রেল ব্রিজের কাজ শেষ হয়ে যায়। 

নদীর পূর্ব পাড়ের রেল লাইনের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পশ্চিম পাড়ের মাহিনগর এলাকায় মাত্র কয়েক মিটার লাইনের কাজ বাকি থাকাই এখন পর্যন্ত ওই ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু করা যায় নি ।অথচ ২০১৭ সালে জমি জট সমস্যা মিটে গিয়েছে। তবে ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ওই কাজে বাধা দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে এই তথ্য দিয়ে জেলার চেম্বারস অব কমার্সের সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন। 

জেলার সার্বিক উন্নয়নে উত্তরবঙ্গ তো বটেই, পূর্ব ভারতের সঙ্গে জেলার সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপন হবে অথচ এত বড় একটি পরিকল্পনা ব্যাহত হচ্ছে তা নিয়েই জেলাবাসীর মধ্যে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, “রেল বাকি কাজ করছে না, তার কারনে রাজ্যের মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। প্রয়োজন হলে জমিদাতাদের কিছু ক্ষতিপূরণ দিয়ে ওই কাজ শুরু করে দেওয়া হোক।” মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ পেয়ে রেল ব্রিজের বাকি কাজ সম্পূর্ণ করতে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি তৎপরতা বেড়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে দিল্লির সঙ্গে মুর্শিদাবাদের যোগাযোগ স্থাপনের নয়া পথ।