সংক্ষিপ্ত

  • ধর্ষণ আটকাতে কঠোরতম সাজা চান মিমি চক্রবর্তী
  • যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিম
  • হায়দরাবাদের ঘটনায় চরম হতাশ তৃণমূল সাংসদ

বিক্ষোভ চলছে, মোমবাতি মিছিল হচ্ছে। কিন্তু এতকিছুর পরেও কি হায়দরাবাদের মতো বর্বরোচিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকানো যাবে? সেই সংশয় থেকেই যাচ্ছে। ঘৃণ্য এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন দেশের সাংসদরা। এবার মুখ খুললেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। ঘটনায় তীব্র হতাশা ব্যক্ত করে অভিনেত্রী- সাংসদ বলছেন, 'যতই মোমবাতি মিছিল হোক, যে গেছে সে তো আর ফিরে আসবে না।'

ধর্ষণের সাজা দিতে বর্তমানে যে আইন আছে, তাতে অনেক ফাঁক রয়েছে বলেই আক্ষেপ করেছেন মিমি। তাঁর প্রশ্ন, ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের ক্ষেত্রে কেন শুধুমাত্র নাবালক বলে অভিযুক্তদের ছাড় দেওয়া হবে? একইসঙ্গে ক্ষুব্ধ এবং হতাশ মিমি বলেন, 'আমাদের দেশে ধর্ষণের বিচারের জন্য যে আইন রয়েছে সেটাই অদ্ভুত। যারা দোষী তাদের নিরাপত্তা দিয়ে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নাবালক বলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে নাবালক বলে তার বুদ্ধি নেই, সে কিছু বোঝে না। তাহলে কোনও নাবালক একজনকে ধর্ষণ করে কীভাবে মেরে ফেলে? আমার মতে এমন কঠোর শাস্তি ব্যবস্থা করা উচিত যাতে এসব ভাবার আগে যেন অপরাধীরা শিউরে ওঠে।'

আরও পড়ন- যৌনাঙ্গছেদ করা হোক ধর্ষকদের, দাবি উঠল সংসদে

একই সঙ্গে হায়দরাবাদে নির্যাতনের শিকার পশু চিকিৎসকের পরিবারের মানসিক অবস্থাও উপলব্ধি করেছেন যাদবপুরের সাংসদ। হতাশ মিমি বলেন, 'যার গেছে সেই বোঝে। আমরা যতই মোমবাতি মিছিল করি না কেন।,  তার মেয়ে কোনওদিন ফিরে আসবে না।'

প্রসঙ্গত সোমবারই সংসদে হায়দরাবাদ কাণ্ডে সরব হয়েছিল মিমির দল তৃণমূল কংগ্রেসও। দলের সাংসদ সৌগত রায় দাবি করেন, এমন আইন আনা হোক যাতে ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।