সংক্ষিপ্ত

  • দুর্গাপুজোয় থাবা বসালো করোনা মহামারী আতঙ্ক
  • পুজো প্যান্ডেলে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল কলকাতা হাইকোর্ট
  • প্রশাসনকে সচেতনতা অভিযান চালানো নির্দেশ জারি 
  • পুজো মণ্ডপেও একসঙ্গে ১৫ থেকে ২৫ জনের বেশি জমায়েত নয়

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবেও থাবা বসালো করোনা মহামারী আতঙ্ক। সংক্রমণ রোধে রাজ্যের সমস্ত পুজো প্যান্ডেলে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল কলকাতা হাইকোর্ট। পুজোর সময় রাস্তায় ভীর কমাতে প্রশাসনকে সচেতনতা অভিযান চালানো নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এমনকী পুজো মণ্ডপেও একসঙ্গে ১৫ থেকে ২৫ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন- 'সরকার কি মানবে', হাইকোর্টের পুজো রায় নিয়ে কী বলল বঙ্গ বিজেপি

হাইকোর্টের নির্দেশে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়। তার মতে, "এই নির্দেশ মানতে হবে পুজো কমিটিগুলোকে। এই রায়ের ফলে তাঁদের বহু সমস্যার সম্মুখীণও হতে হবে। পুজো কমিটিগুলোর পুজো করার জন্য এতদিনের যে পরিশ্রম তা নষ্ট হল। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে পুজো বাবদ টাকা দেওয়া হয়েছে, সেগুলিও সঠিকভাবে কাজে লাগানো যাবে না। এই রায়ের ফলে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। কারণ পুজো কমিটিগুলো সমস্ত নিয়ম-বিধি মেনেই তবেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু করেছিল, যাতে সাধারণ মানুষ সুষ্ঠভাবে উৎসব কাটাতে পারে। এখন রাজ্য সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সেই মত তা পালন করবো।"

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের আলো জ্বলার আগেই কলকাতা হাইকোর্টের এমন নির্দেশে অনেকেই সন্তুষ্ট নন। হাইকোর্টের তরফ থেকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয়, যেখানে মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারে, সেখানে কিভাবে এই উৎসব পালনের স্বীকৃতি দিল রাজ্য সরকার। শুধু স্বীকৃতিই নয় পাশাপাশি পুজো কমিটিগুলোকে পুজোর বিষয়ে উৎসাহ দিতে, হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পঞ্চাশ হাজার টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতেও পুজোর আনন্দে গা ভাসালে এক ভয়াবহ দিন দেখতে হতে পারে রাজ্যকে। তাই বারবার কেরলে হয়ে যাওয়া ওনামের ঘটনাকে সামনে রেখে মানুষকে সচেতন হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন তাঁরা।