সংক্ষিপ্ত

তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে অপসারিত করা হল তৃণমূল পরিচালিত নশিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানকে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

শাসক তৃণমূলের তরফে হুইপ জারি করেও শেষ রক্ষা করা গেল না। শুক্রবার মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে অপসারিত করা হল তৃণমূল পরিচালিত নশিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান (TMC Panchayet pradhan) ও উপপ্রধানকে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে' নেমেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

শাসক দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারনে একের পর এক অনাস্থা এনে বোর্ড ভেঙে দেওয়ার 'খেলার' বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মুর্শিদাবাদ উত্তর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান কানাই চন্দ্র মন্ডল সংবাদমাধ্যমে সাফাই দিয়ে বলেন ,“দলীয় অনুশাসন অমান্য করে ওই অনাস্থা আনা হয়েছিল। ওটা ওদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তবে ফের যিনিই প্রধান নির্বাচিত হোন না কেন সেটাও তৃণমূলেরই বোর্ড হবে।” 

নশিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যা ১৯ জন । এদের মধ্যে শাসক দল তৃণমূল পায় ১০টি আসন, বাকি ৯টি আসনের মধ্যে ৫টি লাভ করে সিপিএম ও কংগ্রেসের দখলে থাকে ৪টি আসন। একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করে তৃণমূল দলের নির্বাচিত সদস্য সাবেদা বিবি প্রধান নির্বাচিত হন এবং উপপ্রধান হন দলেরই ইব্রাহিম শেখ। 

সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর ওই প্রধানকে সরাতে সক্রিয় হয়ে ওঠে দলের একটি অংশ। ফলে পঞ্চায়েতের ১২ জন বিক্ষুব্ধ সদস্য প্রধান ও উপপ্রধানকে অপসারিত করতে স্থানীয়  বিডিও-র কাছে অনাস্থা প্রস্তাব দেন। তার ভিত্তিতে অনাস্থার পক্ষে বিপক্ষে ভোটাভুটি আয়োজিত হলে প্রধান এবং উপপ্রধান অনুস্থিত থাকেন। স্বাভাবিক ভাবে পঞ্চায়েত আইন মেনে তারা অপসারিত হন। 

'গান্ধীজির ভারতে এমন ব্যবহার আশা করেননি' দিল্লি নামতেই তাড়ানো হল আফগান মহিলাকে

দুর্গাপুজোর সময় জ্বালাবে না লোডশেডিং, কী ব্যবস্থা করছে রাজ্য, জানালেন অরূপ বিশ্বাস

Bank Holidays in September : সেপ্টেম্বর মাসে কোন কোন দিনে বন্ধ ব্যাঙ্ক, দেখে নিন তালিকা

এই ব্যাপারে নশিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অপসারিত প্রধান সাবেদা বিবি বলেন, “যে প্রক্রিয়ায় আমাকে অপসারিত করা হল দলের পক্ষে তা অসম্মানজনক। তবে আমি দলের নির্দেশ মেনে আগামী দিনে কাজ করে যেতে চাই।"