সংক্ষিপ্ত
আফগানিস্তান পার্লামেন্টের সদস্য রঙ্গিনা কারগর বিশে অগাষ্ট দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। কিন্তু তাঁর দাবি দিল্লি বিমানবন্দর থেকে তাঁকে বের হতেই দেওয়া হয়নি।
তালিবান আফগানিস্তান দখলের পর প্রাণভয়ে পালাচ্ছেন প্রায় প্রত্যেক আফগানি। ভারত অনেককেই আশ্রয় দিয়েছে। তবে এই ঘটনা বেশ অন্যরকম। আফগানিস্তান পার্লামেন্টের সদস্য (Afghan Woman MP) রঙ্গিনা কারগর (Rangina Kargar) বিশে অগাষ্ট দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Indira Gandhi International Airport) অবতরণ করেন। কিন্তু তাঁর দাবি দিল্লি বিমানবন্দর থেকে তাঁকে বের হতেই দেওয়া হয়নি।
রঙ্গিনার দাবি দু ঘন্টা ধরে দিল্লি বিমানবন্দরে অপেক্ষা করার পরে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়। ওই একই বিমানে দুবাই হয়ে ইস্তানবুল ফিরে যান রঙ্গিনা। অথচ কারগরের দাবি তাঁর কাছে সরকারি ও বিশেষ কূটনৈতিক পাসপোর্ট রয়েছে, যা ভারতের সঙ্গে ভিসা মুক্ত ভ্রমণের সুবিধা দেয়।
কারগর আফগান সংসদে ফারিয়াব প্রদেশের প্রতিনিধি। তিনি একজন তুর্কমেন, যিনি ১৯৮৫ সালে মাজার-ই-শরীফে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, এবং কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন এবং নিজেকে একজন নারী অধিকার কর্মী হিসেবে বর্ণনা করেন।
বাড়ি বাড়ি ঢুকে বিয়ে করার জন্য মেয়ে খুঁজছে তালিবান, শিউরে ওঠা অভিজ্ঞতা মহিলা সাংবাদিকের
বড়সড় ধাক্কা তালিবানদের, আফগানিস্তানে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ করল ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক
তালিবানদের নিয়ে কাশ্মীর দখল করার ছক, দেখুন কীভাবে প্রশিক্ষণ চলছে পাকিস্তানে
কিন্তু আচমকা এরকম কেন করা হল কারগরের সঙ্গে। তাঁর কথায় দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁর সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ করা হয়। দুবাইতে তাঁকে তাঁর পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হয়নি। শুধু ইস্তানবুলে তা ফেরত পান তিনি। কিন্তু ভারত তাঁর সঙ্গে যে ব্যবহার করেছে, তা কোনওদিন আশা করেননি তিনি। কারগরের কথায় মহাত্মা গান্ধীর ভারতের কাছে এই ব্যবহার কাম্য নয়। তিনি ভেবেছিলেন ভারত সরকার আফগান মহিলাদের সাহায্য করে। তবে তাঁর ধারণা আফগানিস্তানে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য ভারতের এই আচরণ।
"