সংক্ষিপ্ত

  • করিমপুরেও জয় অধরা বিজেপি-এর
  • ২৩ হাজারেরও বেশি ভোটে হারলেন গেরুয়াশিবিরের প্রার্থী
  • গত বিধানসভা ভোটে করিমপুরে জিতেছিল তৃণমূল
  • উপনির্বাচনেও আসনটি ধরে রাখল শাসকদল

ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে দিনভর উত্তপ্ত ছিল করিমপুর। বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের উপর হামলার অভিযোগও উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শেষপর্যন্ত নদিয়ার এই বিধানসভা কেন্দ্রটিও কিন্তু নিজেদের দখলেই রাখল রাজ্যের শাসকদল। ২৩ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহরায়।

২০১৬ সালে বামেদের থেকে করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। বিধায়ক নির্বাচিত হন শাসকদলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। কিন্তু লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে ফের প্রার্থী হন তিনি। নদিয়ার রানাঘাট কেন্দ্র হাতছাড়া হলেও, কৃষ্ণনগরে কিন্তু জেতেন মহুয়া। উপনির্বাচনে করিমপুর আসনে জিততে মরিয়া ছিল বিজেপি।  প্রার্থী হন দলের রাজ্য নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।  কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হল না। বরং বৃহস্পতিবার গণনা শুরু হতেই এগিয়ে যান তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহরায়ই। বেলা যত গড়িয়েছে, মার্জিনও ততই বেড়েছে তাঁর।  সত্যি কথা বলতে, করিমপুরে তৃণমূল কংগ্রেসে জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ছিল।  গত বিধানসভা ভোটে করিমপুরে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বামেরা। এবার তারা নেমে গিয়েছে তৃতীয় স্থানে।

আরও পড়ুন: খড়গপুরে উপনির্বাচনে ধরাশায়ী বিজেপি, প্রথমবার জয় পেল মমতার দল

উল্লেখ্য, সোমবার উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে তেতে উঠেছিল করিমপুর। নিশানায় ছিলেন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার। কোথাও তাঁকে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী, তো কোথায় আবার ওঠে গো ব্যাক স্লোগানও। পিপুলখোলা এলাকায় বুথে আক্রান্তও হন জয়প্রকাশ। লাথি মেরে তাঁকে ঝোপে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ ছিল, হারবে বুঝেই করিমপুরে দলের প্রার্থীর উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ঘটনার রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন। 

আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জে জয় পেল তৃণমূল, ২৩০৪ ভোটে জয়ী প্রার্থী

করিমপুর উপনির্বাচনে প্রচারপর্বেও জমে উঠেছিল বিতর্ক। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র যখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছিল, তখন তাঁর সঙ্গে দেখা যায় থানারপাড়া থানার ওসি সুমিত ঘোষ। প্রচারের ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কমিশনের অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি।  করিমপুরের থানারপাড়া থানার ওসি-কে অপসারণের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।