সংক্ষিপ্ত
সোমবার, ঘড়ির কাঁটায় তখন ঠিক রাত একটা। প্রবল বৃষ্টির ফলে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ির ছাদের জল পড়ে বলরাম দাসের জরাজীর্ণ কাঁচা বাড়িটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল। অল্পের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান দম্পতি।
বাড়ির কোনও অংশই আর অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। ভেঙে পড়েছে চারিপাশ। আর তার মধ্যেই কোনওরকমে খোলা আকাশের নিচে পলিথিন টাঙিনে দিন কাটাচ্ছেন দিনমজুর দম্পতি। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত এলাকার মাত্র এক কিলোমিটার দূরে তিনদিন ধরে এভাবেই দিন গুজরান করছেন তাঁরা। অভিযোগ, পঞ্চায়েত এলাকার কাছে হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও নেতা ও জন প্রতিনিধি তাঁদের খোঁজ নিতে আসেননি। পাটশাক খেয়ে কোনওরকমে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
বলরাম দাস (৫৫) ও তাঁর স্ত্রী পুষ্প দাস (৪৫)। বাড়ি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির বড়াডাঙী গ্রামে। সোমবার, ঘড়ির কাঁটায় তখন ঠিক রাত একটা। প্রবল বৃষ্টির ফলে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ির ছাদের জল পড়ে বলরাম দাসের জরাজীর্ণ কাঁচা বাড়িটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল। অল্পের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান ওই দম্পতি। তবে আহত হন তাঁরা। এদিকে প্রাণে বেঁচে গেলেও এখন দিন গুজরান করতে গিয়েই রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। সামান্যতম কোনও খাবারও নেই তাঁদের কাছে। কোনওরকমে পাটশাক খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। আর মাথা গোঁজার ঠাঁই বলতে রয়েছে শতছিদ্র একটি পলিথিন।
আরও পড়ুন- কুকুরে টেনে নিয়ে গিয়েছে মাথা, পোশাক দেখেই মিলল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের খোঁজ
আরও পড়ুন- জল বাড়ছে গঙ্গায়, রাক্ষুসে ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম, দেখুন ভয়ঙ্কর ছবি
আরও পড়ুন- বিপদসীমা পার করে মানিকচকে ঢুকল গঙ্গার জল, 'খোঁজ নেয়নি প্রশাসন', অভিযোগ দুর্গতদের
পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের কাঁচা বাড়ির দেওয়াল লাগোয়া রয়েছে তৃণমূল কর্মী ইন্দ্রমহন দাস ওরফে বাঙ্কা দাসের পাকা বাড়ি। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বাঙ্কার ছাদের জল তাঁদের কাঁচা বাড়ির দেওয়ালে সরাসরি পড়ছে। বারণ করতে গেলে পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। এমনকী, বেশ কয়েকবার বাড়িতে এসে দলবল নিয়ে পরিবারের লোকেদের মারধরও করেছে ওই তৃণমূল কর্মী। পুলিশের হুমকিও দিয়েছেন। তাই এখন বসতবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে আতঙ্কে দিন কাটছে বলরাম দাসের।
আরও পড়ুন- 'টুইটারে কী হচ্ছে', ডেরেকের বার্তায় কংগ্রেস-তৃণমূলের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত
বলরাম দাসের বক্তব্য, প্রাণনাশের ভয়ে পুলিশকে অভিযোগও জানাতে পারছেন না তাঁরা। অঞ্চল সভাপতি পঙ্কজ কুমার দাসকে বারবার ফোন করেও কোনও সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ। অগত্যা এভাবেই একফালি পলিথিনের নিচে কোনওরকমে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।