সংক্ষিপ্ত

  • দুর্গাপুর পুরসভা এলাকার ঘটনা
  • দলের নেতার বিরুদ্ধে 'দিদিকে বলো'-তে নালিশ
  • নালিশ জানিয়ে আক্রান্ত হলেন তৃণমূল কর্মী
  • মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

খোদ দলনেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দলীয় কর্মী, নিজেদের সমস্যায় যে কেউ তাঁকে ফোন করতে পারেন। 'দিদিকে বলো' কর্মসূচিকে সফল করতে মাঠে নেমে পড়েছেন তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা। এলাকায় এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিদি ফোন করার আর্জি জানাচ্ছেন দলের বিধায়করা। 

কিন্তু সেই 'দিদিকে বলো'-তে ফোন করে দলের নেতার বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েই দুর্গাপুর শহরে আক্রান্ত হলেন এক তৃণমূল কর্মী। মেরে তাঁর মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযোগের তির দুর্গাপুর পুরসভার চার নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন- গ্রামে রাত কাটাতে গিয়ে মাতালের খপ্পরে মন্ত্রী, আসানসোলে 'দিদিকে বলো', দেখুন ভিডিও

আক্রান্ত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম টোটোন দাস। সূত্রের খবর, শনিবার দু্র্গাপুর সিটি সেন্টারে একটি 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি নিয়ে স্থানীয় নেতৃত্ব একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেই সময় তখনই জেল তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে টোটোন দাসের সঙ্গে চন্দ্রশেখরবাবু ও তাঁর অনুগামীদের বচসা হয়। এর পরেই 'দিদিকে বলো'-র টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে তিনি বরো চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান।  অভিযোগ, বিষয়টি জানতে পেরেই চন্দ্রশেখরবাবুর অনুগামীরা টোটোন দাসের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রীয়ের কাছে ওই তৃণমূল কর্মীকে খুন করার হুমকি দেয়। 

বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে নিরাপত্তার আবেদন করেন টোটোন দাস। তাঁর দাবি, 'দিদিকে বলো'-র টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করার পরে তাঁর মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শই দেওয়া হয়েছিল। থানায় অভিযোগ জানিয়ে বাড়ি ফেরার পথে চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওই তৃণমূল কর্মীর। এ বিষয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এবং বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখরবাবুর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।