সংক্ষিপ্ত
- দলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি
- ভরদুপুরে শান্তিপুরে খুন হয়ে গেলেন এক তৃণমূলকর্মী
- ঘটনার নেপথ্য গোষ্ঠাকোন্দল, দাবি পরিবারের
- অভিযোগের তির দলের বিধায়কের দিকে
ভরদুপুরে এলাকায় ঢুকে এক তৃণমূলকর্মীকে কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার শান্তিপুরে। মৃতের পরিবারের দাবি, দলের গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই খুন করা হয়েছে ওই তৃণমূল কর্মীকে। খোদ শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের দিকে অভিযোগে আঙুল তুলেছেন তাঁরা।
মৃতের নাম শান্তনু মাহাতো ওরফে গনা। এলাকায় সক্রিয় তৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সোমবার দুপুরে যখন শান্তিপুরে ব্রহ্মতলা এলাকায় একটি চা-এর দোকানে বসেছিলেন শান্তনু, তখন এলাকায় ঢোকে ১০-১৫ জন দুষ্কৃতী বলে জানা দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাদের সকলেরই মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই তৃণমূলকর্মীকে ঘিরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর এলাকায় বোমাবাজি করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এদিকে রক্তাক্ত অবস্থায় শান্তনুকে উদ্ধার করে প্রথমে শান্তিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকরা। শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর যাওয়ার পথে মারা যান তৃণমূলকর্মী শান্তনু মাহাত।
আরও পড়ুন: সিএএ বিরোধীদের গুলি করার হুমকি, দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর তৃণমূল নেতার
পরিবারে লোকেদের দাবি, শান্তিপুরে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠী। একটি গোষ্ঠীর নেতা শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান অজয় দে আর অপরটির শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। শান্তনু বরাবরই অজয় দে-র গোষ্ঠীর সমর্থক ছিলেন। কিন্তু বিধায়ক তাঁকে নিজেদের দলে টানার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু নিহত ওই তৃণমূল কর্মী রাজি হননি। সে কারণের খুনের ছক বলে দাবি করেছেন মৃতের স্ত্রী। এদিকে গোষ্ঠীকোন্দল তো দূর অস্ত, নিহত শান্তনু মাহাতকে দলের কর্মী বলেই মানতে নারাজ শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। নিহতের বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানার বেশ কয়েকটি অভিযোগ আছে বলে জানা গিয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।