সংক্ষিপ্ত

সোমবার থেকে লক ডাউনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঐতিহাসিক নবাব নগরীর হোটেল গুলি থেকে বুকিং বাতিল করে ঘর মুখী হতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। থিয়েটারের শো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রা পথ বাতিল করে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে নাট্য সংস্থা। 

আংশিক লকডাউনের (Lockdown) ফলে দ্বিধা বিভক্ত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সকল স্তরের মানুষ (Common People)। সোমবার থেকে লক ডাউনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঐতিহাসিক নবাব নগরীর হোটেলগুলি (Hotels) থেকে বুকিং (Booking) বাতিল করে ঘর মুখী হতে শুরু করেছেন পর্যটকরা (Tourists)। থিয়েটারের শো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রা পথ বাতিল করে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে নাট্য সংস্থা। সংস্থাগুলি তো বটেই  এই লক ডাউনকে কেন্দ্র করে সংশয় প্রকাশ করেছেন সাধারন মানুষ। করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের লক ডাউন থেকে মানুষ শিক্ষা নিয়েছিলেন । কিন্তু এবারের আংশিক লক ডাউনের ফলে মানুষ সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে শুরু করেছেন। 

সরকারি ভাবে আংশিক লকডাউনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাইরে থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক হোটেল ছেড়ে ঘরের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে শুরু করেছেন। আবার যারা আগামী দিনগুলির জন্য হোটেলে বুকিং নিয়েছিলেন তারা আর ঝক্কি নিয়ে ঘুরতে যেতে চাইছেন না। স্বাভাবিক ভাবে তারা হোটেলের বুকিং বাতিল করছেন। এদিন হোটেল ছেড়ে বাড়ি যাওয়ার পথে বাঁকুড়ার বাসিন্দা অজয় নাথ বলেন,কয়েক দিন ঘুরব বলে পরিবার নিয়ে মুর্শিদাবাদ বেড়াতে এসেছিলাম। কিন্তু লকডাউনের কথা ভেবে আগে ভাগেই ফিরে যাচ্ছি। 

একই রকম কথা বলেছেন আসানসোলের বাসিন্দা নিজামুদ্দিন শেখ, পুরুলিয়ার আশুতোষ বিশ্বাসরা। এদিকে সোমবার জেলা পুলিশের উদ্যোগে অষ্টম লালগোলা বই মেলা নিয়ম মাফিক ভাবে উদ্বোধন করার কথা জেলা পুলিশ সুপার কে সবরি রাজ কুমারের। শেষ পর্যন্ত ওই বইমেলা করা যাবে কিনা তা নিয়ে মেলা কমিটি দফায় দফায় বৈঠক করেও পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। সেক্ষেত্রেও কমিটি দ্বিধা বিভক্ত। এক দলের দাবি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করে বই মেলা করা হোক। 

এই ব্যাপারে কমিটির মুখ্য উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর মিয়াঁ বলেন, “করোনা বিধি নিষেধ মেনে এবং সরকারের ঘোষণাকে প্রাধান্য দিয়ে বই মেলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” এদিকে সোমবার উত্তর দিনাজপুরে কালিয়াগঞ্জে প্রান্তিক নাট্য গোষ্ঠীর “আমার পুতুল ” নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়ার কথা। বহরমপুর থেকে রওনা হওয়ার পথে তাও বাতিল করা হয়েছে বলে দাবি করেন সংস্থার পরিচালক প্রিয়ঙ্কু শেখর দাশ। সবমিলিয়ে মুর্শিদাবাদ জুড়ে আজব পরিবেশ তৈরি হয়েছে করোনার এই তৃতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতিতে।

এদিকে, রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে, গত ২৫ ডিসেম্বর পার্ক স্ট্রিট-এর মাস্ক বিহীন জনস্রোতের একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সঙ্গের ক্যাপশনে বলা হয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর কলকাতার দৈনিক নতুন কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৩৯। সেখান থেকে ২ জানুয়ারীর নতুন কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬,১৫৩। অর্থাৎ এই ৫ দিনে শহরের দৈনিক নতুন কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা, অভূতপূর্বভাবে ১৪০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কলকাতার ইতিবাচকতার হারও উদ্বেগজনক, ৩২.৮ শতাংশ। বঙ্গ বিজেপির দাবি, বিশ্বে সম্ভবত কলকাতাতেই এখন ইতিবাচকতার হার সর্বোচ্চ। এটা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী অনিয়ন্ত্রিত সমাবেশের অনুমতি দিয়েছেন বলেই।