সংক্ষিপ্ত
'ভার্চুয়াল' প্রেমের আড়ালে চরম পরিণতি হিসেবে প্রেমিকার কপালে নেমে এলো মর্মান্তিক মৃত্যু। ঘটনায় মঙ্গলবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত হট্টগ্রামের এলাকায়।
প্রেমও এখন ভার্চুয়াল (Virtual Love)। আর তাই প্রেম এখন বাঁধা নেই নির্দিষ্ট কোন গণ্ডির মধ্যে। রীতিমতো 'ভার্চুয়াল' পদ্ধতির মাধ্যমে জগতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে নির্দ্বিধায়। কিন্তু সবটাই এত স্বপ্নের মতো সুন্দর নয়। শেষ পর্যন্ত সেই 'ভার্চুয়াল' প্রেমের আড়ালে চরম পরিণতি হিসেবে প্রেমিকার (Minor Girl) কপালে নেমে এলো মর্মান্তিক মৃত্যু (Tragic death)। ঘটনায় মঙ্গলবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) প্রত্যন্ত হট্টগ্রামের এলাকায়। মৃতা দশম শ্রেণীর ষোড়শী পড়ুয়ার নাম সুমি খাতুন(নাম পরিবর্তিত)।
ঘটনার জেরে মৃতার পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত প্রেমিক যুবককে খুঁজে বের করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন। তবে ঘটনার সূত্রপাত বেশ নাটকীয় ভাবে শুরু হয়েছিল প্রথম লকডাউনের সময়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আচমকাই সোশ্যাল মিডিয়ায় 'ভার্চুয়াল' জগতের মাধ্যমে পরিচয় হয় মুর্শিদাবাদের হট্টগ্রামের সুমির সঙ্গে ভিন রাজ্যের ওই যুবকের। তারপর থেকে ক্রমশ তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক পরিণতি পায় প্রনয়ের সম্পর্কে । ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে প্রথমে কেউ খুব একটা বুঝে উঠতে না পারলেও, পরে মেয়ের নানান অস্বাভাবিক আচরণ দেখে রহস্য দানা বাঁধে পরিবারের মহিলা সদস্যদের মধ্যে।
এর পরে একসময় সুমির সঙ্গে ভার্চুয়াল জগতের মাধ্যমে ভিন রাজ্যের যুবকের প্রনয়ের সম্পর্কের কথা জানতে পারে তার পরিবারের লোকজন। আর এরপরই শুরু হয় চরম জটিলতা। একদিকে ওই নাবালিকার ওপর পরিবারের লোকজনের চাপ বর্তাতে শুরু করে এই সম্পর্ক দ্রুত এনে দেওয়ার জন্য। অন্যদিকে ভার্চুয়াল জগতের মাধ্যমে অজানা যুবকের কাছ থেকে ক্রমশ কিশোরীর কাছে প্রেম নিবেদনের আহ্বান দিনে দিনে বাড়তে থাকে। যাতে সাড়া না দিয়ে কোনমতেই মানসিকভাবে স্বস্তি পারছিল না ওই কিশোরী।
ঘরে এবং বাইরে এই দুই টানাপোড়েনের মাঝে পড়ে রীতিমতো অসহায় অবস্থায় দিন কাটাতে শুরু করে দশম শ্রেণীর পড়ুয়া সুমি। এদিকে ঘটনা আচমকাই অন্য দিকে মোড় নেয়। সুমির প্রেমিক সুমিকে বিভিন্ন সময়ে ফোনালাপ ও ভিডিও কলিং এর মাধ্যমে ক্লিপিং রেকর্ড করে রাখে। যেখানে বেশকিছু ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে কথাবার্তা থেকে শুরু করে ক্লিপিং রয়েছে বলেই জানা যায়। আর সেই সমস্ত তথ্য নেট দুনিয়ায় ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে ওই প্রেমিক যুবক কিশোরীকে বলেই পরিবার ও পাড়া-প্রতিবেশীর অভিযোগ।
Oil Price Today-বাড়ল না তেলের দাম,কোথায় কত দামে কিনতে হচ্ছে পেট্রল-ডিজেল,দেখুন
Padma Awards 2020-সিন্ধু থেকে কঙ্গনা সম্মানিত পদ্ম পুরস্কারে,মরণোত্তর সম্মান সুষমা-জেটলিকে
Global Warming-২০৩০ সালের মধ্যে জলের তলায় ডুববে কলকাতা, তালিকায় বড় বড় শহরের নামও
সম্প্রতি ওই যুবক প্রেমিকার সঙ্গে নানান ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু কথাবার্তা থেকে ছবি কোনোভাবেই ওই যুবক কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়। এতে চরম মানসিকভাবে চাপে পড়ে যাই সুমি। পরিবারের লোকজন ওই স্কুলপড়ুয়াকে নানান ভাবে দোষারোপ করতে থাকে।এরপরে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তার বাড়ি থেকে।কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের লোকজন।
খবর পেয়ে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। দুই সন্তানের জনক পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুমির বাবা এদিন ন্যায় বিচার চেয়ে বলেন, "এইভাবে আমার মেয়ে চলে যাবে তা আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। ওই ছেলেটির চরম সাজা হওয়া দরকার তাকে। খুঁজে বের করে প্রশাসন কঠোর সাজা দিক এটাই চাই আমরা।"