সংক্ষিপ্ত
১৩ জানুয়ারি দুপুরে নিজের বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন রাঘো সিং। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। তাঁর মৃত্যুর জন্য কর্মসংস্থানের নীতিকেই দায়ি করেছেন অনেকেই।
আপার প্রাইমারিতে (Upper Primary Job Candidate) দু-দুবার ইন্টারভিউ (Interview) দিয়েছিলেন বালুরঘাট শহরের নেপালীপাড়া এলাকার রাঘো সিং (Ragho Singh)। কিন্তু, তারপরও চাকরি পাননি তিনি। ধীরে ধীরে হতাশা গ্রাস করেছিল তাঁকে। এরপর ১৩ জানুয়ারি দুপুরে নিজের বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হন তিনি। আর তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। তাঁর মৃত্যুর জন্য কর্মসংস্থানের নীতিকেই দায়ি করেছেন অনেকেই। পাশাপাশি এনিয়ে রাজ্য সরকারকে (State Government) কটাক্ষ করেছেন বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ীও (Ashok Lahiri)।
আজ টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন অশোক কুমার। সেখানে তিনি বলেন, "রাজ্য সরকারের আপার প্রাইমারি পরীক্ষায় ২ বার ইন্টারভিউ দেওয়া ও প্যানেলভুক্ত হওয়ার পরেও নিয়োগ না হওয়ায়, হতাশায় আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন বালুরঘাটের মেধাবী তরতাজা যুবক রাঘো সিং এমনটাই অভিযোগ। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি। রাজ্য সরকার কর্মসংস্থানের যদি ব্যবস্থা না করে, কর্মনিযুক্তিতে যদি স্বচ্ছতা না আনে তাহলে এই ধরনের অপঘাত এবং অপমৃত্যু বেড়ে যেতে পারে। আমাদের সতর্ক হওয়া দরকার, প্রচেষ্টা করা দরকার যাতে কর্মসংস্থান বাড়ে এবং কর্মনিযুক্তিতে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা আসে।"
আরও পড়ুন- মমতা উত্তরপ্রদেশে গেলে আখেড়ে লাভ বিজেপির, কেন এমন বললেন শুভেন্দু অধিকারী
উল্লেখ্য, আপার প্রাইমারিতে দু-দুবার ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন রাঘো সিং। কিন্তু, তারপরও চাকরি পাননি তিনি। তারপর থেকেই হতাশা গ্রাস করেছিল তাঁকে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হন। চাকরি না পেয়ে হতাশায় আত্মঘাতী হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই ফেলে দেয় পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ। ১৪ জানুয়ারি বিষয়টি জানাজানি হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হয় বিভিন্ন সংগঠন। এরপর এই ঘটনার কথা জানার পরই ১৫ জানুয়ারি বিকেলে মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। যেখানে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু সহ অন্যান্যরা। পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি এই ইস্যুতে সরকারের বিরোধিতায় পথে নামে। বিজেপির পক্ষ থেকে আপার প্রাইমারি নিয়োগ দ্রুত করার দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন- 'শুধু নিরামিষই নয়, বিরিয়ানিও খাওয়া হয় বিজেপিতে, সময় এলেই ক্ষোভ মিটে যাবে', বলছেন দিলীপ
এরপর রাঘো সিংয়ের মৃত্যুর প্রতিবাদে ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বালুরঘাটে (Balurghat) বিজেপির যুব মোর্চার (BJP Yuva Morcha) পক্ষ থেকে মোমবাতি মিছিলের (Candle Rally) আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় বালুরঘাট শহরের কল্যাণীঘাট এলাকায় অবস্থিত বিজেপি জেলা কার্যালয় থেকে মোমবাতি মিছিলটি বের হয়। শেষ হয় বালুরঘাট থানা মোড়ে। শিক্ষক নিয়োগ না হলে আগামীদিনে বহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে বলে বিজেপির তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে কোনও নিয়োগই সেভাবে হচ্ছে না। যার ফলে দিশেহারা হচ্ছে যুবক-যুবতীরা। আর সেই জায়গা থেকেই এমন আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন বেকার যুবক যুবতীরা।