সংক্ষিপ্ত

  • জম্বুদ্বীপের কাছে ডুবে গেল মৎস্যজীবীদের ট্রলার
  • গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ডুবল ট্রলার
  • ট্রলার থেকে ১৩ জনকেই উদ্ধার করা হয়েছে
  • ট্রলারের পাটাতন ফেটে গিয়ে জল ঢুকতে শুরু করে

গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে জম্বুদ্বীপের কাছে ডুবে গেল মৎস্যজীবীদের একটি ট্রলার। সেখানে মোট ১৩ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। ওই ট্রলার থেকে ১৩ জনকেই উদ্ধার করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন-বজ্রবিদ্যুৎ ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতা-দক্ষিণবঙ্গে, প্রবল বর্ষণে পাহাড়ে ধস নামার সম্ভাবনা

মৎস্যজীবী সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এফবি সিতঙ্করি নামে এই ট্রলারটি শুক্রবার ভোরে সাগরদ্বীপ থেকে বঙ্গোপসাগরে পাড়ি দেয়। বেলার দিকে আচমকা সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে জম্বুদ্বীপের কাছে ট্রলারের পাটাতন ফেটে গিয়ে জল ঢুকতে শুরু করে। এরপর সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুরু করেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারের মৎস্যজীবীরা। 

তখনই তাঁদের চিৎকার শুনে আশপাশে থাকা আরও পাঁচটি ট্রলার এগিয়ে আসে। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। কিন্তু, ততক্ষণে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারটি ডুবে যেতে থাকে। ডুবতে বসা ট্রলার থেকে ১৩ জন মৎস্যজীবিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকর্মীরা সকলেই সাগরদ্বীপের বাসিন্দা। বাকি পাঁচটি ট্রলার উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের সাগরদ্বীপের মায়া গোয়ালিনী ঘাটে নিয়ে আসছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- বেঁচে থেকেও রেশন তালিকায় 'মৃত' মালদহের বৃদ্ধা, খতিয়ে দেখার আশ্বাস BDO-র

এর আগে ১৯ জুন বকখালিতে একটি ট্রলার ডুবে গিয়েছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল ট্রলারটি। ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালি থেকে আরও গভীরে বঙ্গোপসাগরে। ডুবন্ত ট্রলার থেকে ১২ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছিলেন অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীরা। এফ বি তারা মা নামে ওই ট্রলারটি নামখানার থেকে পাড়ি দিয়েছিল। বকখালি থেকে আরও ঘন্টা দুই যাওয়ার পর ট্রলারের পাটাতন ফেটে জল ঢুকতে থাকে। ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা বাঁচার জন্য চিৎকার করেন। পরে অন্য ট্রলারের মৎস্যজাবীরা তাঁদের উদ্ধার করেন।