সংক্ষিপ্ত

একজনের বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পর আরেকজন মুষড়ে পড়েছিল। ভেবেছিল একা হয়ে যাবে।

বিয়ে হলে আলাদা হলে যাবে হরিহর আত্মা দুই বান্ধবী। কোনও দিনই তা চায়নি তারা। একসঙ্গে থাকার উপায় কি, উপায় খুঁজে জীবনের চরম পথ বেছে নিল তারা। একই ওড়নায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল দুই বান্ধবী। এদের মধ্যে একজনের এপ্রিল মাসেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। 

সোমবার এই ঘটনা ঘটে শিলিগুড়ির ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ নগরে। দুই বান্ধবীর মধ্যে যার বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল, তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মেয়ের এই বিয়েতে আপত্তি ছিল না। বিয়ের কথা শুরু হওয়ার পর থেকে কখনও আপত্তি জানায়নি। ছেলে পছন্দ কীনা, জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল মেয়েকে। তখনও কিছু জানায়নি। কিন্তু আচমকা এমন সিদ্ধান্ত কীভাবে নিল সেই মেয়ে, কেউই কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না। 

আরেক নাবালিকার বাড়ির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই দুই বান্ধবী ছোটবেলা থেকেই একসঙ্গে বড় হয়েছে। পড়াশোনা থেকে ঘুরতে যাওয়া, সবকিছুতেই একসঙ্গে তাদের দেখা যেত। একজনের বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পর আরেকজন মুষড়ে পড়েছিল। ভেবেছিল একা হয়ে যাবে। কিন্তু এমন ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিয়ে জীবন শেষ করে দেবে, তা কেউ ভাবেনি। বাড়ি ফাঁকা ছিল। সেই সুযোগে দুই বান্ধবী আত্মহননের পথ বেছে নেয় বলে জানিয়েছেন দুই পরিবারের লোক। 

ভক্তিনগর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি দু’টি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। তাতে লেখা, ‘আমাদের আলাদা করবেন না। এক সঙ্গে নিয়ে যাবেন। এক সঙ্গে রাখবেন। আমাদের সব কাজ এক সঙ্গে করবেন।’ সুইসাইড নোটে একে অন্যকে ছেড়ে না থাকত না পারার কথাও লেখা হয়েছে।