সংক্ষিপ্ত
মধ্যরাতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় হেলমেটহীন অবস্থায় প্রাণ গেল দুই বন্ধুর, মৃত যুবকদের নাম অজয় মণ্ডল ও বিল্টু মন্ডল। বাড়ি ফিরে দোল উৎসবে আনন্দ করার ইচ্ছা অধরাই রয়ে গেল।
মধ্যরাতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় (Tragic Accident) হেলমেটহীন অবস্থায় প্রাণ গেল দুই বন্ধুর। মৃত যুবকদের নাম অজয় মণ্ডল ও বিল্টু মন্ডল। বাড়ি ফিরে দোল উৎসবে আনন্দ করার ইচ্ছা অধরাই রয়ে গেল। ঘটনাস্থলে মাথায় গুরুতর আঘাত জনিত কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় অজয়ের। এবং হাসপাতালে (Hospital) যাওয়ার পথেই বিল্টুর মৃত্যু ঘটে। এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ইচ্ছে ছিল ছুটিতে বাড়ি ফিরে পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে চুটিয়ে আনন্দ উপভোগ করা। তবে শেষ ইচ্ছা আর পূরণ হলো না দুই অন্তরঙ্গ বন্ধুর। হেলমেট হীন অবস্থায় দ্রুত গতিতে বাইক চালাতে গিয়ে রাস্তার মোড়ে থাকা গার্ড রেল এ ধাক্কা মারায় মর্মান্তিক মৃত্যু হল তাদের। বুধবার গভীর রাতে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদেরর শ্যামনগর এলাকায়। মৃত যুবকদের নাম অজয় মণ্ডল ও বিল্টু মন্ডল। দুই জনের বয়েস যথাক্রমে ২৩ এবং ২২ বছর। এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। জানা যায়, স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা এই দুই যুবক পেশায় ভিন রাজ্যের ঠিকা শ্রমিক ব্যাঙ্গালোর থেকে তাঁদের গ্রামের বাড়িতে আসে। আসন্ন দোল উৎসবের দিনটিতে আনন্দ উপভোগ করতে মুখিয়ে ছিল তারা বলেই পরিবার সূত্রে জানা যায়। বাড়ি ফেরার পরই একই বাইকে করে অজয় আর বিল্টু বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো রকম হেলমেট ছাড়াই। সব প্রথমে তারা বাইক চালিয়ে যায় বাড়ি থেকে কয়েক কিমি দূরে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে শ্যামনগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তারা। সঙ্গে আরোও কয়েকজন বন্ধুও বাইকে করে তাদের সঙ্গে রওনা দেয়। পথে শ্যামনগর যাওয়ার মুখে রাস্তার বাঁক ঘুরতে যাওয়ার সময় রাস্তার উপরে থাকা গার্ড রেলে সজোরে ধাক্কা মারে অজয়ের বাইকটি। ঘটনাস্থলে মাথায় গুরুতর আঘাত জনিত কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় অজয়ের।
আরও পড়ুন, পরকীয়ায় বাধা, স্বামীকে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ গৃহবধূর বিরুদ্ধে
অপরদিকে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় বন্ধু বিল্টুকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যায় হাসপাতালে।সেখান থেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে স্থানান্তরিত করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পথেই বিল্টুর মৃত্যু ঘটে। চোখের সামনে এই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকা অজয় ও বিল্টুর আরেক বন্ধু অন্য বাইকে থাকা বলে,'ভাবতেই পারছি না চোখের সামনে আমার দুই বন্ধু এইভাবে মারা যাবে। মুহূর্তে মধ্যে সবকিছু শেষ হয়ে গেল। হয়তো মাথায় হেলমেট থাকলে হয়তো আজ ওরা বেঁচে যেত।'