ব্যবধান কয়েক ঘণ্টার নদীতে ডুবল দুটি জাহাজ দুর্ঘটনা ঘটল হুগলি নদী ও মুড়িগঙ্গায় বরাতজোরে রক্ষা পেলেন নাবিকরা 

ক্য়াপ্টেনের অসতর্কতায় কি ঘটল বিপর্যয়?ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে বাংলাদেশের জাহাজ ডুবে গেল হুগলি নদীতে। জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে মুড়িগঙ্গা নদীতেও। বরাতজোরে রক্ষা পেয়েছেন ক্যাপ্টেন-সহ দুর্ঘটনাগ্রস্থ দুটি জাহাজের নাবিকরা। তাঁদের উদ্ধার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: চন্দ্রকোনায় শালগাছের জঙ্গলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, বন্যপ্রাণীদের বিপদের আশঙ্কা

এম ভি তোফা আরিফ ৪ আর এম ভি ধ্রুব রুপান্তি। সিমেন্টের ছাই নিয়ে নির্দিষ্ট জলপথে দুটি জাহাজই যাচ্ছিল বাংলাদেশের দিকে। বৃহস্পতিবার ভোরে দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলপি এলাকায় হুগলি নদীতে দুর্ঘটনা কবলে পড়ে এম ভি তোফা আরিফ ৪ জাহাজটি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ক্যাপ্টেনের অসতর্কতায় স্থানীয় মন্তেশ্বর খালে নদীর চরে আটকে যায় জাহাজটি। চরে আটকে যাওয়ার পরও জাহাজটি কাত জলে ভাসছিল। বেলার দিকে যখন নদীতে জোয়ারে জল বাড়তে থাকে, তখন জাহাজটি ডুবতে শুরু করে। চোখের নিষেমে আস্ত একটি জাহাজ তলিয়ে যায় নদীর গর্ভে। বিকেলে দুর্ঘটনা ঘটে মুড়িগঙ্গা নদীতে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার সাগরে কাছে বিদ্যুতে খুঁটিকে ধাক্কায় ডুবে যায় এম ভি ধ্রুব রুপান্তি নামে আরও একটি জাহাজ।

আরও পড়ুন: লকডাউনের জেরে আগেই কাজ-হারা, বাঁধ ভাঙা প্লাবন বাকিটুকুও নিয়ে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগণার গ্রামবাসীদের

এদিকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর দুটি জাহাজ ডুবির ঘটনায় কলকাতা বন্দরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছেন। অনেকেই বলছেন, নদীর নাব্যতা ও স্রোত সম্পর্কে জাহাজের নাবিক বা ক্যাপ্টেনের কাছে সঠিক তথ্য ছিল না। তারজেরেই ঘটেছে দুর্ঘটনা। শুধু তাই নয়, লকডাউনের মাঝে জলপথে কীভাবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চলছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

Scroll to load tweet…