সংক্ষিপ্ত

ইউক্রেনে আটকে রয়েছেন গাইঘাটা পাঁচপোতা এলাকার তন্ময় বিশ্বাস। এখও বাড়ি ফিরতে পারেননি তিনি। তাই স্বভাবতই আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে তাঁর পরিবার। 

ক্রমেই জটিল হচ্ছে ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি। এদিকে ইতিমধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে বৈঠকে বসেছে রাষ্ট্রসংঘও(United Nations is meeting to discuss the Russia-Ukraine crisis)। অন্যদিকে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র (Russian missiles) হানার হাত থেকে বাঁচতে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে তাদের আকাশ পথ বন্ধ করেছে ইউক্রেন। এর ফলে ইউক্রেনে পড়তে গিয়ে আটকে পড়েছে বহু ভারতীয় ছাত্র। বর্তমানে সেদেশে প্রায় ৪০ হাজারের কাছাকাছি ভারতীয় আছেন বলে জানা যাচ্ছে। যাদের মধ্যেই বেশিরভাগই ছাত্র। ওই তালিকাতেই রয়েছেন গাইঘাটা পাঁচপোতা এলাকার তন্ময় বিশ্বাস। এখও বাড়ি ফিরতে পারেননি তিনি। তাই স্বভাবতই আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে তাঁর পরিবার। 

তন্ময়ের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে পয়লা অক্টোবর সে ডাক্তারি পড়তে ইউক্রেনের পাড়ি দিয়েছিল। তন্ময় বর্তমানে খারকিউবস শহরে রয়েছে। বাবা-মা এর একমাত্র সন্তান সে। বাবা দুলাল বাবু স্ত্রীকে নিয়ে বর্তমানে কর্মসূত্রে উত্তরপ্রদেশে রয়েছেন। বর্তমানে তাদের গাইঘাটার বাড়ি দেখভাল করছেন মামি নির্মলা বিশ্বাস। তিনি বলেন"ছেলের সঙ্গে মাঝে মাঝে যোগাযোগ হচ্ছে কিন্তু আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। ওখানে জল নেই খাবার নেই । অনাহারে দিন কাটছে । ফোনে ঠিকমতো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারের কাছে আবেদন ছেলে যেন সুস্থ শরীরে আমাদের পরিবারের মাঝে ফিরে আসে।" এদিকে এদিন খানিক আগেই ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার বার্তা দিয়েছিল রাশিয়া। মনে হচ্ছিল এবার হয়তো ঠেকানো যাবে যুদ্ধ। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের কিছুক্ষণ পরেই আবার ইউক্রেন রাষ্ট্রনেতাদের উৎখাত করার জন্য সেদেশের সেনাকে বার্তা দিল রাশিয়া। তার ফলে আরও জটিল হয়ে উঠল ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি। আর এখানেই বাড়ছে উদ্বেগ। 

আরও পড়ুন- পুরভোটের আবহে তপ্ত বাংলার মাটি, শেষ দিনের প্রচারে বড় চমক একাধিক জেলায়

আরও পড়ুন- ভোর রাতে হঠাৎ শুরু বোমাবর্ষণ, প্রাণ বাঁচাতে হোস্টেলের বাঙ্কারে আশ্রয় হাওড়ার ডাক্তারি পড়ুয়ার

এদিকে আগাম যুদ্ধের খবর পেয়ে ১৫ মার্চ ফেরার কথা ছিল উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা কাশিপুরের বাসিন্দা বছর ২০-র নিশা বিশ্বাসের। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনে সেনা অভিযানের ঘোষণা করার পরই শুরু হয়ে যায় যুদ্ধ। তন্ময়ের মতো তিনিও আর ফিরতে পারেননি। সেই কারণে চিন্তায় রয়েছ তাঁর পরিবারও। তবে আশার কথা এই যে ইতিমধ্যেই ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় ছাত্রদের সিরেট সীমান্ত দিয়ে রোমানিয়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। ইউক্রেনে আটকে থাকা বাকি পড়ুয়াদের হাঙ্গেরি সীমান্তে গিয়ে দূতাবাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সর্বদা যোগাযোগ রাখছে ভারতীয় দূতাবাসও।