সংক্ষিপ্ত
- গোসাবায় চালু হল ভ্যাকসিনেশন অন বোট
- কুমিরমারি দ্বীপে এই কর্মসূচির উদ্বোধন হয়
- জেলাশাসক পি উল্গানাথন উদ্বোধন করেন
- বোটে বিভিন্ন প্রত্যন্ত দ্বীপে যাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা
সোমবার থেকেই দ্বীপ বেষ্টিত গোসাবা ব্লকের জন্য ভ্যাকসিনেশন অন বোট কর্মসূচি চালু হল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উল্গানাথন আজ দুপুরে কুমিরমারি দ্বীপে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন- 'প্রশাসকের সই ছাড়া মিলবে না ভ্যাকসিন', গুরুতর অভিযোগ উঠল আসানসোলে
এই বোটগুলিতে চেপে স্বাস্থ্যকর্মীরা গোসাবা ব্লকের বিভিন্ন প্রত্যন্ত দ্বীপে পৌঁছে যাবেন। এক একদিন এক একটি দ্বীপে যাবেন তাঁরা। সেখানকার যে সব মানুষ টিকা নিতে পারেননি তাঁদের টিকা দেওয়া হবে। সরকারি নির্দেশিকা মেনেই টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে গোসাবা ব্লক প্রশাসনের তরফে। আজ এই ভ্যাকসিনেশন অন বোট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল এবং জেলার অন্য আধিকারিকরা। ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরাও।
দেশে করোনা সংক্রমণের গতি এখন অনেকটাই নিম্নমুখী। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৭৯৬ জন। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার ২২৯।
আরও পড়ুন- মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন বাবা-মা, অমানবিক ছবি রায়গঞ্জে
তবে রাজ্যের কোভিড গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী। চিন্তা বাড়াচ্ছে তিনটি জেলা। উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দার্জিলিং। রাজ্যে সুস্থতার হারও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে না। এখনও আটকে ৯৭ এর ঘরেই। রবিবার রাতে স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে এই মুহূর্তে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন, ১ হাজার ২৯৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। কলকাতায় একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। কলকাতায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৩২। তবে সংক্রমণের নিরিখে সব জেলাকেও পিছনে ফেলে রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। দ্বিতীয় পশ্চিম মেদিনীপুর। সেখানেও একদিনে আক্রান্ত ১৫৬ জন।
এই পরিস্থিতিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই কারণে দ্রুত টিকাকরণ প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় সরকার। তাই সব মানুষের কাছে যাতে টিকা পৌঁছে দেওয়া যায় তাই এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। বোটে করে প্রত্যন্ত দ্বীপে এখন পৌঁছে দেওয়া হবে টিকা।