সংক্ষিপ্ত
কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যের একাধিক বাজার বন্ধ করল প্রশাসন। লাগাতার করোনা সংক্রমণের জেরে তালদি বাজার, ভাঙড় সহ ব্যারাকপুরে এদিন থেকে একাধিক বাজার বন্ধ করা হয়েছে।
কোভিড মোকাবিলায় (Covid-19) রাজ্যের একাধিক বাজার বন্ধ করল প্রশাসন। বাজার বন্ধ তালদিতে (Taldi)। লাগাতার করোনা সংক্রমণের (Covid Infection) জেরে টানা তিন দিন তালদি বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যানিং ১ ব্লক প্রশাসন। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বাজার। পাশাপশি বন্ধ করে দেওয়া হলো ভাঙড়ের একাধিক বাজার। করোনা পরিস্থিতি (Covid Situation) নিয়ন্ত্রণে আনতে সোমবার থেকে শুরু হল কড়া নিয়ম বিধি ব্যারাকপুর মহকুমাতেও (Barrackpur)।
তালদি বাজার ব্যবসায়ী সমিতি ও ক্যানিং ১ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী পরিষেবা ছাড়া বাকি সব দোকান বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাগ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সোমবার থেকে ভাঙ্গড় দু'নম্বর ব্লক এ সমস্ত বাজার বন্ধ করে দেওয়া হল। সপ্তাহের প্রতিদিন সমস্ত বাজার ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসনে আধিকারিকরা। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হলো ভাঙড়ের একাধিক বাজার। সপ্তাহে সোমবার এবং শুক্রবার হাট বসে পোলেরহাট সহ একাধিক এলাকায়। সোমবার থেকেই সেই হাট বন্ধ করে দেওয়ায় কার্যত অঘোষিত বন্ধের চেহারা নিয়েছে এলাকায়। সমস্ত দোকানপাট বন্ধের পাশাপাশি সবজি বাজার ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের দাবি করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে এলাকাজুড়ে। ফলে বাজার বন্ধ থাকলে সেই চেন একটু হলেও কাটবে বলে দাবি।
অপরদিকে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যারাকপুর মহকুমায় সোমবার থেকে শুরু হলো কড়া নিয়ম বিধি। ব্যারাকপুর মহকুমাতে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রতিদিন। শুধু মাত্র ব্যারাকপুরেই প্রতিদিন ১০০ জন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাকে নিয়ন্ত্রনে আনতে প্রশাসনিক বৈঠকে ঠিক হয় প্রতি সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে দোকান বাজার। সেই সঙ্গে মাস্ক না পরে রাস্তায় বের হলেই তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হবে এবং করোনা টেস্ট করা হবে। সে মত ই সোমবার সকাল থেকেই লাগু হয়েছে বিধি নিষেধ। সেই সঙ্গেই শুরু হয়েছে কঠোর বিধি নিষেধ গুলি ঠিক করে মনা হচ্ছে কি না তা দেখার কাজ। সকাল থেকেই দেখা গেল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে র ওষুধের দোকান ও দুধের দোকান ছাড়া সমস্ত দোকান বাজার সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে । রাস্তাও প্রায় জন মানব হীন। সেই সঙ্গে চলছে পুলিশি টহল। কোন দোকান খোলা দেখলেই সেগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে পুলিশ। তবে সাধারন মানুষ কে অনেকটাই সচেতন হতে দেখা গিয়েছে এবার।