সংক্ষিপ্ত
প্রধানমন্ত্রী বৈঠক এড়িয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলাইকুন্ডা গিয়েই বৈঠকে সামিল হননি
তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি
তুলে দেন রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট
কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেই বেরিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর বৈঠক এড়িয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ১৫ মিনিট একান্তে সাক্ষাৎ করেন। তিনি ঘূর্ণিঝড় যশে (Cyclone Yaas)র কারণে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। কিছুক্ষণ পরেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান। ২টো ৫ মিনিটে কলাইকুন্ডা এসে পৌঁছেছিলেন। আর সেখান থেকে দিঘার উদ্দেশ্যে চপারে করে রওনা দেন ২টো ৪৫ মিনিটে। তাঁর সঙ্গে রয়েছে মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন বেশ কয়েকটি বৈঠক রয়েছে তাঁর, সেই কারণেই তিনি প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় যশ পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়ে যাওয়ার পরেই পর্যালোচনা বৈঠক শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছে মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে রাজ্যের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রধাননন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত দিঘায় তাঁকে যেতেই হত। তাই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে রাজ্যের জন্য বিশ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ তিনি চেয়েছেন বলেও দিঘার প্রশাসনিক বৈঠকে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনও দিঘায় সেচ দফতরের কাজ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিঘাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে আকাশপথে বাংলা ও ওড়িশার ঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথম ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করে। তারপরে বাংলায় এসে কলাইকুন্ডা এয়ারবেসে বাংলার প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্যের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও খড়গপুরের সাংসদ হিরণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনিই প্রধানমন্ত্রীকে কলাইকুন্ডা এয়ারবেসে স্বাগত জানিয়েছিলেন।
যদিও বৃহস্পতিবার রাত থেকেই এই কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা পর্যালোচনা বৈঠক নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। বিজেপি বিধায় শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত থাকবেন এটা জানার পর থেকেই বৈঠকে উপস্থিত হতে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মত দিল্লিকে পুরো বিষয়টি জানান হয়েছিল। এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি ক্ষতিয়ে দেখতে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। হিঙ্গলগঞ্জেই মমতা জানিয়ে দিয়েছিলেন একাধিক কর্মসূচি থাকায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তবে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে।