সংক্ষিপ্ত
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ বিভাগ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল সেইসঙ্গে মজুরি ও অর্থের অধীনে প্রাপ্ত তহবিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করছে। তিনি আরও বলেছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি কল্যাণমূলক প্রকল্প।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হয়েছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের সাধারণ মহিলাদের প্রত্যেক মাসে ৫০০ টাকা ও তফশিলী জাতি ও উপজাতির মহিলাকে ১ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে বড় অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর টুইট করে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে শুভেন্দুর বার্তা
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ বিভাগ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল সেইসঙ্গে মজুরি ও অর্থের অধীনে প্রাপ্ত তহবিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করছে। তিনি আরও বলেছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি কল্যাণমূলক প্রকল্প। এটির একমাত্র দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। শুভেন্দুর কথায় দেউলিয়া হয়ে গেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্প অর্থাৎ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলের অপব্যবহার করছে। একটি দুষ্টচক্রও তৈরি করেছে, কারণ রাজ্য সরকার ভয়ানক আর্থিক চাপের মধ্যে রয়েছে।
শুভেন্দু জানিয়েছেন, তিনি তাঁর বক্তব্যের সমর্থনের জন্য সমস্তরকম প্রমাণ জোগাড় করছেন। রাজ্য সরকার ICDS-এর মতো কেন্দ্রীয় তহবিলগুলিকে অস্থায়ীভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডারের তহবিল দেওয়ার জন্য এবং অন্য কেন্দ্রীয় তহবিল যেমন মিড ডে মিলের টাকাও প্রাপ্তির সঙ্গে ফেরত দিচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর কথায় বিষয়টা এমন দাঁড়িয়ে যখন এটার খরচ মেটাতে অন্য একটা থেকে ধার নেওয়া হচ্ছে। গোটা বিষয়টি বন্ধ করতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে তিনি গোটা বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করবেন। আর এই বিষয়ে প্রচার করবেন।
রাজ্যের লক্ষাধিক মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে সুধিবে পান। কয়েক কোটি টাকা খরচ হয় রাজ্য সরকারে। একদিকে রাজ্য সরকার রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ বা মহার্ঘ্যভাতা দিতে পারছে না বলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। রাজ্য সরকারের দাবি অর্থিক সংকট রয়েছে রাজ্যের। সেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত অনুদানমূলক প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছে প্রতিপক্ষ বিজেপি। এবার শুভেন্দু অধিকারী রীতিমত চড়ায় ভাষায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন।